তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর বিকাশের এই যুগে প্রযুক্তির আশীর্বাদের পাশাপাশি আছে বড় ধরনের ঝুঁকিও। ভার্চুয়াল জগতের সেই ঝুঁকির অন্যতম শিকার শিশুরা। ২০২১ সালে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ শিশু অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয় এবং ৮ ভাগ শিশু শিকার হয় যৌন হয়রানির।
উদ্বেগজনক এই বিষয়টি মাথায় রেখে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ও প্রাকশৈশব বিকাশের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিশুদের অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
সোমবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘সেফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ নামের নতুন এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ নেওয়ায় সিসিমপুরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সিসিমপুরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে সরকারের ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশনের গ্রান্ট স্পেশালিস্ট গুইলহার্ম গঞ্জালেস রোকা ই সুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. বি এম মাইনুল হোসেন, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোক্তা সাবিলা ইনুন ও সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, আইসিটি এক্সপার্ট, কনটেন্ট ডেভেলপার, আর্লি চাইল্ডহুড স্পেশালিস্ট এবং শিক্ষা বিশষজ্ঞরা অংশ নেন।
ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে শিশুদের নিরাপত্তা এবং কী কী ধরনের প্ল্যাটফর্মে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সে বিষয়ে গবেষণা করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের জন্য তৈরি করা হবে গাইডলাইন।
এ ছাড়া সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথকে (স্টেম) উপজীব্য করে শিশুদের জন্য একটি মোবাইল গেমও তৈরি করা হবে। তৈরি করা হবে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট ও ৫টি গল্পের বই। যে বইগুলো বিতরণ করা হবে দেশের বিভিন্ন স্কুলে।
একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সিসিমপুরের প্রিয় বন্ধু টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরিরা নিরাপদ ইন্টারনেটবিষয়ক প্রচারণায় অংশ নেবে।