হোজ্জা যে এলাকায় বাস করতেন সেখানকার লোকজন কিছুদিন ধরেই তাকে অনুরোধ জানাচ্ছিল যে, তাদের স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের উদ্দেশে কিছু জ্ঞানের কথা শোনাতে হবে। ওদের অনুরোধ ফেলতে না পেরে হোজ্জা শেষমেশ গেল স্কুলে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে হোজ্জা বললেন, 'আমি আজ তোমাদের যা বলতে চাই, তা কি তোমরা জানো?'
খুব স্বাভাবিকভাবেই ছাত্ররা জবাব দিল, 'না হোজ্জা সাহেব, আমরা কেউই জানি না আপনি কী বলবেন।'
হোজ্জা তখন বললেন, 'জানোই না যখন, তখন আর জেনে কী হবে?'
এই কথা বলে হোজ্জা গটগট করে হেঁটে চলে গেল।
.
পরের সপ্তাহে স্কুল থেকে আবার কয়েকজন এলো হোজ্জাকে নিয়ে যেতে। হোজ্জা আবারও ওদের সামনে গিয়ে বললেন, 'আমি আজ তোমাদের যা বলতে চাই, তা কি তোমরা জানো?'
এবার কিন্তু ছাত্ররা খুবই সাবধান। ওরা সবাই একসঙ্গে বলল, ‘জি মোল্লা সাহেব, আমরা সবাই জানি, আপনি কী বলবেন।'
হোজ্জা তখন বললেন, 'জানোই যখন, তখন আর আমার বলার দরকার কী?'
এই কথা বলে হোজ্জা আবার গটগট করে হেঁটে চলে গেল।
.
স্কুলের ছাত্ররা তো দমবার পাত্র না। ওরা করল কি, পরের সপ্তাহে আবার হোজ্জাকে ধরে নিয়ে গেল ওদের উদ্দেশে কিছু বলার জন্য। হোজ্জা এবারও ওদের সামনে গিয়ে বলল, 'আমি আজ তোমাদের যা বলতে চাই, তা কি তোমরা জানো?'
ছাত্রদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, ‘জি মোল্লা সাহেব, জানি।'
আর কেউ কেউ বলল, 'না মোল্লা সাহেব, জানি না।'
ভাবখানা এমন- এবার বাছাধন কোথায় যাবে? কিন্তু হোজ্জাও দমবার পাত্র না। তিনি বললেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা জানো তারা এক কাজ করো। কাজটি হলো- যারা জানো না, তাদের তা জানিয়ে দাও।'
এই কথা বলে আবার হোজ্জা গটগট করে হেঁটে বাসায় চলে গেল।