বহুদিন আগের কথা। এক বনে বাস করত এক চালাক শিয়াল। একদিন খাবারের তাগিদে জঙ্গলে বেরিয়ে পড়ল সে। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ দেখতে পেল, একটা হাতি মরে পড়ে আছে।
খিদে মিটানোর আশায় হাতির কাছে এগিয়ে গেল। দাঁত দিয়ে হাতির চামড়া কাটতে চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। তাই আর হাতির মাংস খাওয়া হলো না। ক্লান্ত হয়ে সে মরা হাতির পাশে বসে পড়ল।
হঠাৎ তার কানে এলো সিংহের গর্জন। সিংহ তার দিকে এগিয়ে আসছিল। সে নরম স্বরে সিংহকে বলল, ‘আসুন মহারাজ আসুন। আমি আপনার জন্য হাতি শিকার করে পাহারা দিচ্ছি। আসুন ভোজন করুন।’
সিংহ জোরে হুংকার দিয়ে উঠল। সে বলল, ‘আমার শিকার আমি নিজেই করি। অন্যের দয়ার খাবার আমি খাই না।’
সিংহ সেখান থেকে চলে গেল। কিছুক্ষণ পরই সেখানে হাজির হলো এক চিতা।
শিয়াল হাসতে হাসতে তাকে স্বাগত জানাল। বলল, ‘এসো এসো! এই হাতির মাংস একটু টেস্ট করো। দেখো এটা সিংহের শিকার।’
চিতা বলল, ‘বাবারে সিংহের শিকার আমি কীভাবে খেতে পারি?’
শিয়াল বলল, ‘তুমি একদম চিন্তা করো না। সিংহ আসতেই আমি আওয়াজ দেব। তখন তুমি পালিয়ে যেয়ো।’
চিতা ভাবল, এটা ভালো বুদ্ধি। সে খাওয়া শুরু করল।
চিতার ধারালো দাঁত দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই সে হাতির চামরা কেটে মাংস বের করে ফেলল।
শিয়াল এতক্ষণ চুপ করে দেখছিল। যেই চিতা হাতির মাংস বের করল, অমনি শিয়াল চেঁচিয়ে উঠল, ‘সাবধান চিতা ভাই। এখনই পালাও। সিংহরাজ এসে গেছেন।’
সিংহের কথা শুনে চিতা সেখান থেকে পালিয়ে গেল।
এবার শিয়াল মহা খুশি হলো। হাতির মাংস খেতে তার আর কোনো সমস্যাই রইল না।