কে কে পপকর্ন পছন্দ করো, হাত তোলো।
ওমা, সবাই দেখি হাত তুলেছে!
তার মানে সবাই পপকর্ন পছন্দ করো।
চলো তাহলে, এই মজার খাবারটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।
বিভিন্ন ফ্লেভারের পপকর্ন।
ভুট্টার দানা থেকে পপকর্ন বানানো হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানতে পেরেছেন, ৪৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পেরুর অধিবাসীরা পপকর্ণ খেতেন।
তোমরা তো জানো, পপকর্ন ভাজার সময় এটি লাফিয়ে ওঠে। তবে এটি কি জানো যে, এরা লাফিয়ে তিন ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে?
পপকর্নের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশ পানি থাকে।
ভুট্টার দানায় তাপ দিলে ভেতরে যে পানি থাকে তা বাষ্পে পরিণত হয়। এই বাষ্প খোসায় চাপ সৃষ্টি করে। সেই চাপে একসময় খোসাটি ফুটে যায়। তৈরি হয় পপকর্ন।
আঠারো শতকের শুরুর দিকে অনেকে দুধ এবং চিনির মধ্যে পপকর্ন মিশিয়ে খেতে পছন্দ করতেন।
একটি ভুট্টার দানা যখন পপকর্ন হয়, তখন এটি আগের আকারের চেয়ে সর্বোচ্চ ৩০ গুণ বড় হতে পারে।
পপকর্ন দিয়ে বানানো সবচেয়ে বড় বলটির উচ্চতা ছিল ১২ ফুট।
পপকর্ন দিয়ে বানানো সবচেয়ে বড় বল।
১৮৯৩ সালে চার্লস ক্রেটরস প্রথম পপকর্ন তৈরির মেশিন আবিষ্কার করে।
আমেরিকার আদিবাসীরা পপকর্ন নানা ধরনের শুকনা মসলা দিয়ে মাখিয়ে খায়। এমনকি তারা পপকর্নের স্যুপও বানিয়ে খায়।
ভুট্টার শস্যে অন্য যেকোনো শস্য দানার চেয়ে বেশি প্রোটিন রয়েছে। একটি ডিমের চেয়ে বেশি আয়রন ও আলুর চিপসের চেয়ে বেশি ফাইবার রয়েছে।
যে ভুট্টা ফ্রিজে রাখা হয়, সেই ভুট্টা দিয়ে পপকর্ন বানানো যায় না। ফ্রিজে রাখার কারণে ভুট্টার আর্দ্রতা কমে যায় বলে এমনটা হয়।
বালি দিয়ে ভাজা হচ্ছে পপকর্ন।
প্রথম দিকে মানুষ বালু গরম করে সেখানে ভুট্টার দানা ফুটিয়ে পপকর্ন তৈরি করত।