১. কুমির সবচেয়ে বড় সরীসৃপ। তবে কুমিরের মধ্যে লবণ পানির কুমির আকারে সবচেয়ে বড় হয়। এরা লম্বা হতে পারে ২০ ফুটের বেশি। ওজন হতে পারে এক টন।
২. ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ মেরু ছাড়া পৃথিবীর সব জায়গাতেই কুমির দেখা যায়।
৩. কুমির ৩০ থেকে ৪০ বছর বাঁচে। তবে লবণ পানির কুমিরকে ৬০ থেকে ৭০ বছরও বাঁচতে দেখা যায়।
৪. ডাইনোসরদের সময়েও কুমির ছিল। তবে সেগুলো আকারে ছিল অনেক বড়। নিচের ছবিতে সেই যুগের কুমিরগুলোর আকার দেখে নাও।
৫. লবণ পানির কুমিরদের চোয়াল খুব শক্তিশালী। ওরা এক কামড়ে ১৬৭৮ কেজি শক্তি প্রয়োগ করে। সিংহের চোয়ালে শক্তি কত জানো? মাত্র ১৩৪ কেজি।
৬. কুমিররা অন্ধকারে বেশ ভালো দেখতে পায়।
৭. কুমিররা ডিম দেয়ার আগে মাটিতে গর্ত করে। সেই গর্তে একবারে ৩০ থেকে ৭০টি ডিম পারে। ডিম পারা শেষে গর্ত ভরাট করে দেয়। ডিম ফুটে বের হবার পর ছানারা যে শব্দ করে, মা কুমির দূর থেকেই সেটা শুনতে পায়। সে তখন ছুটে আসে এবং মুখে করে ছানাদের নিয়ে পানিতে ছেড়ে দেয়।
৮. কুমিরের ছানা সহজেই অন্য প্রাণীর শিকারে পরিণত হয় বলে ওদের মৃত্যু হার অনেক বেশি। পাখি, সাপ, হায়েনা এবং অন্য প্রজাতির কুমিররা ছানাদের খেয়ে ফেলে।
৯. অন্যান্য সরীসৃপের মতো কুমিরও শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী।
১০. কুমির একবার খাবার খাওয়ার পর অনেক দিন না খেয়ে থাকতে পারে। ওরা খাবার চিবায় না, সরাসরি গিলে খায়।