সপ্তাশ্চর্য মানে হাচ্ছে সাতটি আশ্চর্য জিনিস। প্রাচীনকালে হেলেনীয় সভ্যতার পর্যটকরা পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য নামে তালিকা প্রকাশ করেন। তালিকায় সমসাময়িক পৃথিবীর মানুষের বানানো আশ্চর্যজনক স্থাপনাগুলোর নাম ছিল। চলো দেখে নেই স্থাপনাগুলো কী কী।
মিশরের পিরামিড
ফারাও (সম্রাট) খুফু মিশরের গিজায় নীলনদের পশ্চিম পারে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৭৫ এবং ২৪৬৭ অব্দের মাঝামাঝি সময়ে গ্রেট পিরামিড বা মহাপিরামিড তৈরি করেন। তিনটি পিরামিডের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।
ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান
আনুমানিক ৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে রাজা দ্বিতীয় নেবুচাদনেজার তৈরি করেন বিভিন্ন তলাযুক্ত অতিকায় এক বাগান। এখন যেখানে ইরাক-ব্যাবিলন ছিল, সেখানে।
আর্তেমিসের মন্দির
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫৬ অব্দে শিকার আর ফসলের দেবী আর্তেমিসকে উৎসর্গ করে ৩৪২ ফুট বাই ১৬৪ ফুট আকারের এই মন্দিরটি বানানো হয়। ১২৭টি ৬০ ফুট লম্বা পিলারের ওপর দাঁড়ানো ছিল এটি। যেখানে এটি বানানো হয়, সেই ইফেসাস নগরী বর্তমানে তুরস্কের অন্তর্গত।
অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি
জিউস হলেন গ্রিক দেবতাদের প্রধান। খ্রিষ্ট পূর্ব ৫০০ অব্দের কোনো একসময়ে ফিডিয়াস নামের একজন গ্রিক ভাস্কর তার স্মরণে এটি তৈরি করেন। এই মূর্তি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছিল হাতির দাঁত আর স্বর্ণ। এটি ৪০ ফুট উঁচু ছিল।
হ্যালিকারনেসাসের সমাধি
৩৫৩ থেকে ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন হ্যালিকারনেসাসে রাজা মোসোলাসের মৃত্যুর পর তার স্মরণে অতিকায় এই সমাধি মন্দিরটি তৈরি করে রানী আর্তেমেসিয়া।
রোডসের মূর্তি
গ্রিক সূর্যদেবতা হিলিয়সের মূর্তি বানানো হয়েছিল ব্রোঞ্জ দিয়ে। ২৮০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে গ্রিসের দ্বীপ রোড্স-কে পাহারা দেয়ার জন্য বানানো হয়েছিল হিলিয়সের মূর্তি। রোড্স দ্বীপের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে ছিল সে। লম্বায় ছিল ১০৫ ফুট।
আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াতে দ্বিতীয় টলেমির রাজত্বকালে খ্রিষ্টপূর্ব ২৮০ অব্দের দিকে এই লাইটহাউস বানানো হয়েছিল। উচ্চতা ছিল ৪৪০ ফুট, যা ৪০ তলা ভবনের সমান। গভীর সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজগুলোর পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করত এটি।