নাসিরুদ্দিন হোজ্জার পুরোনো বন্ধু আইনুল্লা বেড়াতে এসেছে। হোজ্জা চাইলেন সবার সঙ্গে বন্ধুকে পরিচয় করিয়ে দিতে।
শুনে আইনুল্লা বললেন, ‘আমার পোশাক আশাকের অবস্থা সুবিধার নয়। পাগড়িটাও আনিনি। তোমার পাগড়িটা আমাকে ধার দাও। তাহলে আমাকে দেখতে ভালো লাগবে।’
হোজ্জা নিজের পাগড়ি বন্ধুকে পরিয়ে দিয়ে ঘুরতে বের হলেন।
পথে এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা হলো। হোজ্জা বললেন, ‘এ হচ্ছে আমার বন্ধু আইনুল্লা। সে যে পাগড়িটা পড়েছে সেটা আমার।’
হোজ্জার বন্ধু বিদায় নেয়ার পর আইনুল্লা মন খারাপ করে বললেন, ‘বন্ধু, পাগড়িটা যে তোমার সেটা ওই লোককে বলার দরকার কি ছিল! দয়া করে এরপর আর কাউকে এসব বলবে না।’
তারা আবার হাঁটতে শুরু করলেন। আরেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই হোজ্জা বললেন, ‘এই হলো আমার বন্ধু আইনুল্লা। সে যে পাগড়িটা পরেছে সেটা আমার নয়, তার নিজের।’
আইনুল্লা আবার মন খারাপ করলেন। তিনি বললেন, ‘হোজ্জা, পাগড়িটা তোমার নাকি আমার এটা কেন টেনে আনতে হবে বুঝলাম না। দয়া করে এই কাজটা আর কোরো না।’
হোজ্জা মাথা নাড়লেন। পরবর্তী বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই বললেন, ‘এই হলো আমার বন্ধু আইনুল্লা। তার মাথায় যে পাগড়িটা দেখছেন সেটা আমার নাকি তার- এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না।’