নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একদিন একটা রাজহাঁস রোস্ট করে বাদশার দরবারের দিকে রওনা দিলেন। রোস্ট করা রাজহাঁসটা তিনি বাদশাকে উপহার দেবেন।
পথে চলতে চলতে রোস্টের ঘ্রাণে হোজ্জার খিদে পেয়ে গেল।
অগত্য একটা গাছের ছায়ায় বসে রাজহাঁসটার একটা পা কেটে খেয়ে ফেললেন।
প্রাসাদে এসে হোজ্জা বাদশাকে রোস্টের থালাটা উপহার দিলেন। ঢাকনা খুলে বাদশা দেখেন, রাজহাঁসটার পা একটা।
তিনি হোজ্জাকে বললেন, ‘সে কী! তোমার রাজহাঁসের মাত্র একটা পা কেন?’
হোজ্জা ভেবেছিলেন, বাদশা উপহারটি পেয়ে বাবুর্চির হাতে তুলে দেবেন। বাবুর্চি সেটাকে কেটেকুটে এনে বাদশার সামনে পরিবেশন করবে। কিন্তু হলো উল্টোটা।
বাদশার প্রশ্নে থতমত খেয়ে হোজ্জা বললেন, ‘হুজুর, ওই দেখুন, লেকের পানির রাজহাঁসগুলোর একটাই পা।’
আসলে সে সময় রাজহাঁসগুলো প্রাসাদের পাশের লেকে এক পা গুটিয়ে অন্য পায়ে ভর করে দাঁড়িয়েছিল। তাই ভাগ্যক্রমে হোজ্জার কথার সঙ্গে দাঁড়ানো রাজহাঁসের দৃশ্য মিলে গেল।
ওদিকে বাদশা কিন্তু হোজ্জার চালাকি ধরে ফেললেন।
তিনি একজন রক্ষীকে বললেন, রাজহাঁসগুলোকে লাঠি দিয়ে তাড়াতে।
লাঠির ভয়ে রাজহাঁসগুলো দুই পায়ে ভর দিয়ে দৌড়ে পালাল।
বাদশা বললেন, ‘হোজ্জা, দেখলে তো, ওদের দুটো করে পা?’
হোজ্জা বললেন, ‘হুজুর, ওরা তো সামান্য রাজহাঁস। ও রকম লাঠি দিয়ে তাড়ালে আমারও দুই পায়ের জায়গায় চার পা গজাত।’