জারিফ সাহসী ও স্বাধীনচেতা এক জিরাফ। তার মনে অনেক প্রশ্ন খেলা করে। সে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চায়। কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর মেলে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গাধা কেন জল ঘোলা করে খায়?
কাক কেন কা কা করে?
জিরাফের গলা এত লম্বা হলো কী করে?
শক্তিশালী বলেই কি সিংহামকে বনের রাজা মানতে হবে?
বনের সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতিম। যদিও পিঁপড়া তাদের ভয় পায় না। জারিফ নিজেও বনের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী। কিন্তু সে হিংস্র নয়। এ কারণেই কি সিংহামের সব অন্যায় মেনে নিতে হবে?
দুর্বল প্রাণীরা কেন সব সময় জীবন বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম করবে? তাহলে স্কুলে যে পড়ানো হয়, সবার সমান অধিকার! সে কথা কি মিথ্যা?
হাতিম, আকালু, কিড়ালি বনে স্কুল খোলে। সেখানে শেখানো হয় প্রকৃতির সহজ পাঠ, বনে টিকে থাকার উপায়, পাখিদের কলকাকলীর মানে, পশুদের ভাব-ভঙ্গি-ভাষা।
এগুলো শিখে দুর্বল প্রাণীরা সচেতন হয়। তারা হিংস্র প্রাণীদের হাত থেকে জীবন বাঁচিয়ে চলতে শেখে।
কিন্তু সিংহামের এই স্কুল পছন্দ নয়। তার ইশারায় বাঙ্গুর দল ক্লাস চলার সময় দুষ্টুমি করে। চিতুর ওদের হয়ে কাজ করে। জারিফ বিষয়গুলো বুঝতে পারলেও প্রমাণের অভাবে কিছু বলতে পারে না।
ওদিকে সিংহাম উপায় খুঁজতে থাকে স্কুল কীভাবে বন্ধ করে দেয়া যায়।
শামুকখোল, ধানটুনি, ঘাসবনে বেড়ে ওঠা পাখিখেকো ভাওয়া, জলার ধারে কাঁটাওয়ালা বৈচিগাছের নিচে ঝোপের ভেতর থাকা ডাহুক, ডংকুর, হরবোলা এমনকি মারকুটে পাখি হিসেবে পরিচিত কালিম পাখির পরিচয় ছেলে-মেয়েরা এ উপন্যাসে পাবে।
জলজ উদ্ভিদের পাতার ওপর হেঁটে হেঁটে খাবার খুঁজে বেড়ানো, হারিয়ে যাওয়া পাখি জলপিপির খোঁজও মিলবে উপন্যাসে। আর মিলবে এদের ছোট ছোট দুষ্টুমিভরা ঘটনা।
দারুণ এই কিশোর উপন্যাসটি লিখেছেন তোমাদের প্রিয় লেখক তাপস রায়।
প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী। প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন গৌতম ঘোষ। দাম ১৭৫ টাকা।