‘বাংলাদেশ’ অর্জন সহজ ছিল না।
ব্রিটিশদের পর এ দেশ ছিল পাকিস্তানের শোষণের উপনিবেশ।
পাকিস্তানি শোষণে জর্জরিত বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে নিরস্ত্র-ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত সশস্ত্র সৈনিকরা।
হাজার হাজার বাঙালি হত্যার উৎসবে মেতে ওঠে খুনি পাকিস্তানি ও তাদের দোসররা।
বাঙালিকে দমিয়ে রাখার জন্য রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
কিন্তু তাদের নৃশংস অত্যাচারও স্বাধীনতার স্বপ্নে উজ্জীবিত বাঙালিকে দমাতে পারেনি।
স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার আশায় মরণপণ লড়াই করতে থাকে বাঙালিরা।
গুটি কয়েক রাজাকার বাদে দেশের বেশির ভাগ মানুষই অংশ নেয় ওই লড়াইয়ে।
অস্ত্রের অভাব, খাবারের অভাবসহ অনেক রকম বাধা ছিল সে লড়াইয়ে।
তবু লড়াই চালিয়ে গেছে পুরো জাতি।
তোমাদের মতো শিশু থেকে শেষ বয়সীরা পর্যন্ত এ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে কত রকমের লড়াই যে তারা করেছেন!
অস্ত্রের লড়াইয়ের পাশাপাশি কখনো ছিল বুদ্ধির লড়াই, কখনো কৌশলের।
এসব লড়াইয়ের সবটুকু আমরা জানতে পারিনি।
তবু অনেককিছু তো জানি!
সেই কিছু জানা বাস্তব ঘটনা নিয়েই লেখা হয়েছে গল্পগুলো।
১৯৭১ থেকে ২০২১।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ।
সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধের ৫০ গল্প।
৫০টি গল্প ৫০ রকমের।
সব গল্পই সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা।
শুধু মানুষ নয়, বাংলার আকাশ-বাতাস, মাটি, গাছপালা, পশু-পাখি, নদী-পুকুর-জলাশয়-সব কিছুই মুক্তিযুদ্ধের অংশীদার।
সে কারণে গল্পে এসব উপাদানও হাজির হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অংশ হিসেবে।
চমৎকার এই বইটি লিখেছেন তোমাদের প্রিয় লেখক আহমেদ রিয়াজ। প্রচ্ছদ করেছেন মামুন হোসাইন। বইটি প্রকাশ করেছে পার্ল পাবলিকেশন্স। দাম ৫০০ টাকা।