ব্যাঙ এক ধরনের উভচর প্রাণী। উভচর মানে এরা পানিতে যেতে পারে, আবার ডাঙ্গাতেও থাকতে পারে। এরা মেরুদণ্ডী প্রাণী।
আমাদের চারপাশে ব্যাঙের ছড়াছড়ি। সবগুলো দেখতে প্রায় একই বকম। তবে পৃথিবীতে ৭ হাজার ৩০০ জাতের ব্যাঙ রয়েছে। কোনোটার গায়ের রং হলুদ, কোনোটার লাল, কোনোটা থাকে গাছে আবার কোনোটা থাকে গর্তের ভিতরে। কোনোটা রাতে ঘুরে বেড়ায় তো কোনোটা ঘোরে দিনের বেলা, কোনোটার শরীরে বিষ আছে আবার কোনোটা নিরীহ ধরনের, নিশাচর আবার কিছু শীতল রক্তবিশিষ্ট।
এতসব ব্যাঙের মধ্যে থেকে আজ তোমাদের কয়েকটি ব্যাঙের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। চলো তাহলে শুরু করি।
নীল জিন্স ব্যাঙ
এই ব্যাঙের দেহের অংশ স্ট্রবেরির মতো লাল আর পায়ের অংশ নীল। দেখে মনে হয় নীল রঙের জিন্স প্যান্ট পরেছে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই ব্যাঙ দেখতে পাওয়া যায়। এরা ১৯ থেকে ২৪ মিলিমিটার লম্বা হয়।
কাচ ব্যাঙ
এই ব্যাঙের দেহ স্বচ্ছ। মানে বাইরে থেকে এর দেহের ভিতরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ দেখা যায়। কাচের মতো স্বচ্ছ বলে একে কাচ ব্যাঙ বলে। এরা গাছে থাকতে ভালোবাসে। ব্লু জিন্স ব্যাঙের মতো এরাও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বাস করে। তবে এরা বিষাক্ত নয়।
পাতা ব্যাঙ
উপর থেকে দেখলে এটাকে পড়ে থাকা শুকনো পাতার মতো মনে হয়। আর এ কারণেই সবাই ওকে পাতা ব্যাঙ বলে। থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াতে বাস করে সে। এরা ভেজা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় থাকতে ভালোবাসে।
খুদে ব্যাঙ
পাতার মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকতে ভালোবাসে এই খুদে ব্যাঙ। মাত্র ৭ মিলিমিটার লম্বা ব্যাঙগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ব্যাঙ হিসেবে স্বীকৃত। ওরা লাফাতে ওস্তাদ। এক লাফে দেহের আয়তনের ৩০ গুণ দূরে যেতে পারে। ওদের দেখতে চাইলে তোমাকে যেতে হবে নিউ গিনিতে।
নীল বিষাক্ত ব্যাঙ
সুরিনাম এবং ব্রাজিলের কিছু অংশে বাস করে নীল বিষাক্ত ব্যাঙ। এরা দিনে খাবার খোঁজে, রাতে বিশ্রাম নেয়। এদের খুব রাগ। অপরিচিত কাউকে দেখলেই তেড়ে আসে। মুখ থেকে বিষ ছুড়ে দেয়। মশা, মাছি, মাকড়শা, গুবরেপোকা পেলে হালুমহুলুম করে খেয়ে ফেলে।