ঈশপের নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছো। খ্রিস্টপূর্ব ৬২০ সালে প্রাচীন গ্রিসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মজার মজার শিক্ষামূলক গল্প বলাতে তার জুড়ি নেই। চলো, আজ তার সিংহ ও বোলতার গল্পটি পড়ে দেখি।
সিংহ এবং বোলতা
সিংহ গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিল।
এমন সময় এক বোলতা তার মাথার উপর উড়তে উড়তে বলল, ‘শোন সিংহ, আমি তোকে একটুও ভয় পাই না। তা ছাড়া তুই আমার থেকে শক্তিশালীও না। তোর ধারালো নখ আছে, দাঁত আছে তো কী হয়েছে! আমারও হুল আছে। শুনে রাখ, আমার জোর তোর থেকে অনেক বেশি। কোনো সন্দেহ থাকলে আয় লড়াই করি, দেখি কে জেতে।’
বোলতার কথা শুনেও খুব একটা গুরুত্ব দিল না সিংহ। শুয়েই থাকল।
তা দেখে বোলতার মেজাজ গরম হয়ে গেল।
সে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ তুলে ঝাঁপিয়ে পড়ল সিংহের ওপর।
মুহূর্তেই সিংহের নাকের ডগায় ফুটিয়ে দিল হুল।
বোলতার হুল খেয়ে সিংহ ব্যথায় লাফিয়ে উঠল।
নাক থেকে বোলতাকে সরানোর জন্য নখ দিয়ে দিল থাবা।
অবশ্য তার আগেই বোলতা সরে পড়ল।
থাবায় সিংহের নিজের নাকই কেটে গেল।
সিংহের সঙ্গে যুদ্ধ জিতে বিজয়-সঙ্গীত গাইতে গাইতে বোলতা উড়ে চলল।
কিন্তু বেশি দূর যাওয়া হলো না তার।
বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা বোলতা গিয়ে পড়ল এক মাকড়সার জালে।
কিছুক্ষণের মধ্যে সে চলে গেল মাকড়সার পেটে।
মরার আগে বোলতা আফসোস করে বলল, ‘কী দুঃখের কথা, সিংহের মতো শক্তিশালী জন্তুকে অনায়াসে হারিয়ে দিয়ে এলাম। অথচ একটা তুচ্ছ মাকড়সার কাছে হেরে গেলাম!’
গল্পের শিক্ষা: ছোট বলে কাউকে অবহেলা করতে হয় না। বিজয়ের আনন্দের সময়ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।