পুতুল-বরের পাগড়ি মাথায়, কনের গায়ে শাড়ি,
ছোট-বড়ো পুতুল মিলে ভরল বিয়েবাড়ি।
সময়মতো এলো সবাই খেলনাগাড়ি চড়ে,
বরের স্বজন পাড়াপড়শি আনল ধরে ধরে।
গেটে এসে আটকাল বর-কনেপক্ষ যারা,
লাগবে টাকা, খুলবে না গেট মোটা অঙ্ক ছাড়া।
এত্ত টাকা পাবে কোথায়! পকেট ফাঁকা পুরো,
ঠিক তখনই ভিড় ঠেলে এক সামনে এলো বুড়ো।
কী যেন কী বলল ওদের গিয়ে কানে কানে,
কথা শুনে রাজি তারা, এলো সমাধানে।
খেতে হবে বরকে শুধু গ্লাসে রাখা পানি,
শর্ত জেনে একে-অন্যে চলল কানাকানি।
পানি খেল ঠিকই কিন্তু বিচ্ছিরি স্বাদ, তিতে,
আনা হলো নতুন কাঁচি, কাটল লম্বা ফিতে।
গেটটা খুলে দেওয়া হলো, ঢুকল পুতুলগুলো,
বরের শপথ—করবে না আর বিয়ে নামক ভুলও।
নামকরা এক কাজী-পুতুল পড়াল সেই বিয়ে,
বিয়ে শেষে বর কনেকে বাড়ি এলো নিয়ে।
কিন্তু কপাল! তারপরও মনটা বরের ফাঁকা,
কনের সাথে একটি রাতও হয় না যে তার থাকা।
পুতুল বিয়ে শেষ হলে রোজ শোকেসের এক তাকে—
খোকন তাদের আলাদা দুই বাকসে ভরে রাখে।