বারবি পুতুল তোমরা কে কে পছন্দ করো বলো তো?
আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি। সবাই পছন্দ করো।
এবার বলো দেখি, বারবি পুতুল কবে প্রথম বাজারে এসেছিল?
জানা নেই। তাই না?
১৯৬৯ সালের ৯ মার্চ আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আন্তর্জাতিক খেলনা মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মেলায় খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাটেল’ বারবি পুতুল প্রদর্শন করে।
সেই থেকে শিশুরা বারবি পুতুল ভালোবাসে। শুধু কি শিশুরা ভালোবাসে?
মোটেই না।
এই জার্মান নানুর কথাই ধরো না।
তার নাম বেটিনা ডর্ফম্যান।
১৯৬৬ সালে তিনি প্রথম বারবি পুতুলের দেখা পান। প্রথম দেখাতেই পুতুলটি ভালো লেগে যায় তার।
তবে ১৯৯৩ সালে তার মাথায় আসে বারবি পুতুল সংগ্রহের কথা। সেই থেকে যেখানেই যান, আগে বারবি পুতুল কেনা চাইই চাই।
২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তার সংগ্রহে ১৫ হাজার বারবি পুতুল ছিল। তখন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাকে সবচেয়ে বেশি বারবি পুতুলের সংগ্রাহক ঘোষণা করে।
বর্তমানে তার বাসায় ১৮ হাজারের বেশি বারবি পুতুল আছে।
এই পুতুলপ্রেমিক নানু একটি হাসপাতালেরও পরিচালক। কিসের হাসপাতাল জানো?
পুতুলের।
কারো পুতুলের পা ভেঙে গেলে, চুল উপড়ে গেলে কিংবা চোখ মুছে গেলে তিনি সেগুলো সারাই করে দেন।
যাবে না কি এই নানুর কাছে তোমার ভাঙ্গা পুতুল সারাতে?