রাত হলেই আমরা ঘুমাতে যাই, তাই না। আমাদের মতো অন্য প্রাণীরাও কিন্তু ঘুমায়। তবে কিছু প্রাণী আছে, যাদের ঘুমের ধরন খুবই অদ্ভুত। চলো, তেমনই কিছু প্রাণীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই। লিখেছেন মেহেদী আল মাহমুদ
১. বাদুড়
সূর্য ডুবলে নয়, বাদুড় ঘুমাতে যায় সূর্য উঠলে। এরা বিছনায় ঘুমায় না। ঘুম পেলে এরা গাছের ডাল ধরে ঝুলে পরে। এ সময় মাথা থাকে নীচের দিকে।
২. সামুদ্রিক ভোঁদড়
সমুদ্রের পানিতে ভেসে ভেসে ঘুমায় সামুদ্রিক ভোঁদড়। একই পরিবারের ভোঁদড়রা হাত ধরাধরি করে ঘুমায় যেন স্রোতের কারনে একজন অন্য জনের থেকে পৃথক হয়ে না যায়। মা ভোঁদড় বাচ্চাকে বুকে নিয়ে ঘুমায়।
৩. জিরাফ
একটানা পাঁচ মিনিটের বেশি ঘুমাতে পারে না জিরাফ। দিনে এভাবে পাঁচ ছয়বার ঘুমায় সে। ঘুম পেলে মাটিতে বসে পড়ে আর লম্বা মাথাটা ফেলে দেয় পিঠের উপড়ে। তারপর দেয় পাঁচ মিনিটের লম্বা ঘুম।
৪. তিমি
ঘুমিয়ে পড়লে ডুবে যাবার ভয় থাকে, আর সেকারনেই তিমি ঘুমের সময় থাকে আধো ঘুম আধো জাগরনে। মানে তিমি যখন ঘুমায় তখন তার মস্তিস্কের অর্ধেক জেগে থাকে, অর্ধেক ঘুমায়। এ সময় তার একটা চোখ খোলা থাকে, অন্য চোখটা থাকে বন্ধ।
৫. ঘোড়া
ঘোড়া ঘুমায় দাড়িয়ে। মূলত আত্মরক্ষার জন্য সে এই কাজ করে। বসে ঘুমানো অবস্থায় কেউ আক্রমন করলে সে তার ভারী শরীর নিয়ে দ্রুত পালাতে পারবে না বলেই দাড়িয়ে ঘুমায়। তবে ঘোড়াকে অনেক সময় বসে ও শুয়ে ঘুমাতেও দেখা যায়।
৬. আলবাট্রস
আলবাট্রস পাখি একটানা কয়েক মাস সমুদ্রের আকাশে উড়ে বেড়ায়। তাই উড়ন্ত অবস্থাতেই তাকে ঘুমাতে হয়। দিনে বেশ কয়েকবার উড়ন্ত অবস্থায় অল্প অল্প করে ঘুমায় সে। ২৪ ঘন্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ মিনিট ঘুমায় এই অদ্ভুত পাখি।
৭. মরুভূমির শামুক
মরুভূমির শামুক খুব আলসে প্রাণী। ঘুমায়ও খুব বেশি। একবার ঘুমিয়ে তিন-চার বছর পর জেগে ওঠার রেকর্ড আছে এদের। ঘুম এলে এরা খোলশের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারপর দরজা চাপিয়ে দেয় ঘুম।
৮. ফ্লেমিংগো
ঘুম পেলে ফ্লেমিংগো পাখি তার বাম পা ভাজ করে উপড়ে তুলে নেয়। মাথা ঢুকিয়ে ফেলে ডানার ভিতরে। তারপর শুধু ডান পায়ে দাড়িয়ে দেয় ঘুম।