১. একটি নীল তিমি আকারে ৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ওজন হতে পারে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি। মানে এটা তিনটা বাস কিংবা ট্রাকের চেয়ে আকারে বড় এবং ওজনেও বেশি। আচ্ছা, তোমার ওজন কতো, কখনও মেপে দেখেছ?
২. একটা বড় হাতির ওজনের চেয়ে নীল তিমির জিহ্বার ওজন বেশি। এর হৃদপিণ্ড একটা প্রাইভেট কারের চেয়ে বড়। মজার বিষয় হচ্ছে, চাইলে তুমি এর রক্তনালীর ভিতরে সাঁতার কাটতে পারবে।
৩. সাধারণত উত্তর মেরু ছাড়া পৃথিবীর সব সাগর-মহাসাগরে নীল তিমির দেখা পাওয়া যায়। এরা দল বেঁধে চলাফেরা করে। একটি দলে পাঁচটি থেকে ৬০টি তিমি থাকতে পারে। তবে একা একা ঘুরে বেড়ানো তিমিও দেখা যায়।
৪. তিমি আকারে বিশাল হলে কী হবে, এরা খায় কিন্তু ছোট ছোট চিংড়ি। এই চিংড়ির নাম ক্রিল। এরা একবারে ৪ কোটি ক্রিল খেতে পারে।
সমুদ্রে দানব আকৃতির নীল তিমি
৫. নীল তিমির বাচ্চারা মায়ের দুধ পান করে। এটাকে পানির নিচে নীলই দেখায়। তবে পানির ওপরে ভেসে উঠলে পুরো শরীর জুড়ে নীলচে ধূসর ছোপ চোখে পড়ে।
৬. নীল তিমি পানিতে ডুবে থাকা অবস্থায় শ্বাস নিতে পারে না। শ্বাস নেবার জন্য এদের কিছুক্ষণ পর পর ভেসে উঠতে হয়। তবে মানুষের মতো প্রতি মুহূর্তে নিঃশ্বাস নিতে হয় না তাদের। অন্তত ৩০ মিনিট পর্যন্ত দম না নিয়ে থাকতে পারে নীল তিমি।
৭. নীল তিমি কখনও পুরোপুরি ঘুমায় না। তাদের মস্তিষ্কের অর্ধেক ঘুমায়, বাকি অর্ধেক জেগে থাকে। ঘুমন্ত অবস্থায়ও তারা শ্বাস নিতে পানির ওপরে ভেসে উঠতে পারে।
৮. জোরে শব্দ করতে নীল তিমির জুড়ি নেই। তারা এত জোরে শব্দ করে যে, সেটা একটা জেট বিমানের শব্দের থেকে বেশি। ১৮৮ ডেসিবলের এই শব্দ অন্য তিমি কয়েক শ মাইল দূর থেকেও শুনতে পারে।