ডোরেমনকে তো চেনোই।
আর সেই ভীতুর ডিম নোবিতা?
তাকেও তো চেনো।
পড়াশোনায় কাঁচা এই পিচ্চিটি কারও সঙ্গে মিশতে পারে না, তাই একলাই চলে।
তাকে সহযোগিতা করতে ডোরেমন বন্ধু হয় নোবিতার।
দিনমান নোবিতাকে চোখে চোখে রাখে ডোরেমন।
নানা বিপদ থেকে উদ্ধার করে তাকে।
ডোরেমনের দরজা কাহিনীও তো বড্ড ভালো লাগে তোমাদের।
পকেট টুলস থেকে সে মজার যেই কৌশল বের করেছে তা হচ্ছে-দোকোদেমো।
দোকোদেমো মানে যে কোনো জায়গায় দরজা।
এই অবাক দরজা দিয়ে যে কোনো জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে ডোরেমনের বন্ধু নোবিতা।
তার আরেকটি কৌশলের নাম-টাকেকপুতা।
এটি একটি পাখা সংযুক্ত যন্ত্র।
যন্ত্রটি মাথায় রেখে প্রজাপতির মতো উড়ে যেতে পারে ভীতু ছেলে নোবিতা।
তাদের আরও আছে টাইম মেশিন।
এর ব্যবহারের কী আর শেষ আছে!
ডোরেমনের এই কমিকটি কে বানিয়েছেন, জানো?
ফুজিকো।
নাম শুনেই বুঝতে পারছো যে, লোকটা জাপানি।
শোনো, এই ফুজিকোরা ছিলেন তিন বন্ধু-ফুজিকো, মোতো ও আবিকো।
তাদের জন্ম ১৯৩০ সালে।
শৈশবেই তিন বন্ধু ছিলেন কমিক পাগলাটে।
এই পাগলুরা কমিক পড়তে পড়তে একদিন নিজেরাই এঁকে ফেলেছিলেন ছবি আর কাহিনী।
একদিন সত্যি সত্যি তিন বন্ধু হয়ে উঠলেন কমিক/কার্টুন লেখক।
অন্যদিকে দুলদুলে জাপানি মুটুদের খবর রাখো তোমরা?
অই যে, সুমো খেলোয়াড়দের কথা বলছি আর কী!
যাদের মাংসপেশিতে ঢেকে গেছে চোখ, সাধারণ আয়তনের বসার জায়গায় তাদের বসার সুযোগ নেই।
আমাদের মতো তাদের সাধারণ মাপের গাড়িতে ঢোকার জো নেই।
মাংস দুলিয়ে ধীর গতিতে হাঁটা ছাড়া উপায় নেই তাদের।
তারপরও তাদের দেদার সুখ।
শরীরে অসুখ নেই।
খায় ইচ্ছামতো।
ওজন কমানো তো দূরের কথা, বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যায়।
দিন দিন মোটা হয়।
কেনো হবে না মোটা?
এতে যে তাদের মর্যাদা বাড়ে, ভক্ত বাড়ে, সুখও বাড়ে।
এই মুটুদের জাপানি ভাষায় বলে, রিকিসি।
রিকিসিদের আবার নানা পদ-মায়েজুমো, জুনোকুচি, জোনিদান, মানদানমে, মাকুসিতো, জুরিও এবং মাকু-উচি।
জাপানের হারাজুকু সুমো স্টেডিয়ামে এই খেলা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় টিকিট।
তাই যারা টিকিট পায় না, তারা বসে পড়ে টিভি নিয়ে।
পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে দেখে সুমো খেলা।
জাপানি সুমোরা আবার পিচ্চিদের বড্ড ভালোবাসে।
আর কারা ভালোবাসে পিচ্চিদের?
আর পিচ্চিরাইবা কী ভালোবাসে?
বলি, জাপান নিয়ে তোমাদের ভালো লাগা আর ভালোবাসার এবং কৌতুহলের টুকিটাকি বিষয়-আশয় নিয়ে 'টোকিওর টুকিটাকি' বইটি লিখেছেন তোমাদের প্রিয় লেখক
ফারুক হোসেন।
ডোরেমন আর সুমো খেলোয়াড়দের কাহিনীর মতো এই বইতে পাবে আরও ৩৬টি কাহিনী।
মানে কাহিনীর পর কাহিনী আর কী!
যার সবই ভালোলাগার মতো।
মজার এই বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ।
৭০ টাকা মূল্যের এই বইটি তোমাদের জন্য প্রকাশ করেছে বাংলাবাজারের বিদ্যাপ্রকাশ।
বইটি পড়ে কেমন লাগলো; তা আমাদের জানাতে ভুলো না আবার!