অনেক অনেক দিন আগের কথা।
কতোদিন আগের?
দুই হাজার বছরের চেয়ে একটু কম আগের।
৭৭ সালের কথা।
না, ১৯৭৭ বা ১৮৭৭ সাল নয়, শুধু ৭৭ সালের কথা।
প্রাচীন রোমদেশে, মানে এখনকার ইতালিতে তখন অনেক বিখ্যাত এক দার্শনিক ছিলেন।
নাম তার...।
বলবো না।
তোমরা খুঁজে বের করতে পারো কি-না দেখি!
তো, এই দার্শনিক অনেক ধ্যানের পর জানালেন, স্থলভাগের সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতি গায়ে-গতরে বড় হলে কী হবে; স্বভাবে বেশ ভীতু।
আর হাতি জগতের সব প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় পুঁচকে ইঁদুরকে!
তারপর থেকে এতোদিন ধরে সবাই কমবেশি এ কথা বিশ্বাস করে আসছিলো।
এ নিয়ে অনেক রূপকথা, উপকথা, গল্প-কবিতাও লেখা হয়েছে; আঁকা হয়েছে এত্তো এত্তো কার্টুন ও কমিকস।
কিন্তু কিছুদিন আগে দুই গবেষক অ্যাডাম স্যাভেজ ও জেমি হাইনম্যান কথাটিকে একেবারেই মানতে পারলেন না।
ভাবলেন, এত্তো বড় একটা প্রাণী কি-না এত্তো পুঁচকে ও ভীতু স্বভাবের একটি প্রাণীকে ভয় পাবে!
শুরু করলেন গবেষণা।
গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে।
পরিকল্পনামতো কয়েকটি বুনো হাতি নিয়ে এলেন।
তার আগে ছোট ছোট কিছু গর্ত করে তাতে একটি ইঁদুর ঢুকিয়ে উপরে হাতির বিষ্ঠা দিয়ে ঢেকে দিলেন।
কোনো হাতি গর্তের সামনে এলেই তারা বিষ্ঠাগুলো সরিয়ে দিতেন এবং তার ভেতর থেকে তখন বেরিয়ে আসতো ইঁদুর।
অবাক হয়ে দুই গবেষক লক্ষ করলেন, চলার পথে এমন আজব কাণ্ড দেখতে পেয়ে হাতিগুলো আর সে পথে এগোচ্ছে না।
তারা হাঁটছে অন্য পথে।
অনেক গভীরভাবে লক্ষ করে গবেষকরা বুঝতে পারলেন, হাতিগুলো আসলে ভয় পেয়ে তাদের পথ পাল্টে ফেলছে না, বরং এ কাজটি করছে বিরক্ত হয়ে।
তার মানে, চলতি পথে পুচকে ইঁদুরদের তিরিংবিরিং হাতিদের বিরক্ত করে বলেই তারা ওদেরকে এড়িয়ে চলে; ভয় পেয়ে নয়।