বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উড়তে ভুলে যাওয়া পাখিদের অভিযান...

  • আশিক মুস্তাফা, ঢাকা   
  • ১১ নভেম্বর, ২০২০ ২১:০৬

দুনিয়া তোলপাড় করা গেমস অ্যাংরি বার্ডস। একই শিরোনামে বানানো হয়েছে অ্যানিমেশন ফিল্ম। ক্লে কাইটস ও ফারগল রাইলি পরিচালিত এই ছবিটি যারা এখনো দেখোনি, তারা চাইলে দেখে নিতে পারো

উড়তে পারে না কোন পাখি?

চোখ বন্ধ করে বলে দেবে উটপাখির নাম।

সে ঠিকই ধরেছো।

তবে জানো, আরেকটা পাখিও উড়তে পারে না।

না না একটা না; একদল পাখি।

এই একদল পাখি খুনসুটি আর আহ্লাদ করতে করতে ওড়াউড়িই ভুলে গেছে।

তারপর?

এই তারপর নিয়ে তারা মোটেও ভাবে না।

তারা আছেই তাদের খুনসুটি নিয়ে।

উড়তে ভুলে যাওয়া পাখিদের একজনের আবার যা তিরিক্ষি মেজাজ; বাপরে বাপ!

ঠিক ইশকুলের রাগী স্যারদের মতো।

তাকে রাগাতে কিছু বলতে হয় না, কিছু করতেও হয় না এমনিতেই তেতে থাকে।

যেনো অটোমেটিক গ্যাসের চুলা।

যে কোনো সময় ফস্ করে জ্বলে উঠবে!

এই রাগের জন্য সে লাল ভাতও খেয়েছে।

বলবে, লাল ভাত আবার কী হে?

লাল ভাত হচ্ছে জেলের ভাত।

একেবার লাল মরিচ মাখা!

তা রাগের জন্য দাগি আসামিদের সঙ্গে জেলে গিয়েও কমে না তার তিরিক্ষি ভাব।

শাস্তি হিসেবে রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্লাসে যেতে বলা হলো।

সেখানে একেবারে বাধ্য। কোনো উপায় না দেখে রুটিন করে ক্লাসে যাওয়া শুরু করলো।

এ যে সাজা।

সেখানে পরিচয় হলো চাক আর বোম্বে নামের দুই জনের সঙ্গে।

এর ভেতর হলো কী; কী হলো?

হয়েছে হয়েছে।

তাদের দ্বীপে মানে রেডদের পাখি দ্বীপে এসে ভিড়েছে বিশাল এক জাহাজ। এত্তো বড়ো জাহাজ উড়তে ভুলে যাওয়া পাখিদের দ্বীপে আগে ভিড়েছে বলে তারা মনে করতে পারে না।

তো এই জাহাজ থেকে নেমে এসে লিওনার্ড নামে একজন নিজেকে শূকর  নেতা পরিচয় দেয়।

পাশে থাকা তার এক সহকারীকে দেখিয়ে বলে, ‘আমরা দুজন ছাড়া এই বিশাল জাহাজে আর কেউ নেই।

আসলে আমরা এসেছি তোমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে।’

সরল সোজা পাখিরা সেটা বিশ্বাসও করে বসে।

তবে তিরিক্ষি মেজাজের জেল খাটা রেডের মন গলাতে পারে না শূকর রাজা লিওনার্ড।

কিন্তু অন্য পাখিদের বিশ্বাসের কাছে তার বিশ্বাস হালকা হয়ে গেলো।

তবু সে নাছোড় বান্দা।

গভীর রাতে চাক আর বোম্বেকে সঙ্গী বানিয়ে জাহাজে হানা দিলো।

জাহাজে গিয়ে তার বিশ্বাসটাই ঠিক হলো।

দেখলো, রাজ্যের শূকর লুকিয়ে আছে তাতে।

দ্বীপে ফিরে ছুটে যায় পাখি নেতা প্যাকইনপার কাছে।

সব খুলে বলে।

তবে তার কথা থোড়াই উড়িয়ে দেন রাজামশাই!

কিছুটা মন খারাপ আর হতাশা নিয়ে যায় ঈগলের কাছে।

আলসে ঈগলও কিছুই করতে পারে না।

সেও যে ওড়াউড়ি ভুলে বসে আছে।

ঈগলের কাছ থেকে ফিরতে না ফিরতেই খবর পায় ডিম চুরির।

শূকররা দ্বীপের সব ডিম চুরি করে হাওয়া।

তারপর?

তারপর সবাই রেডের কথা শুনতে বাধ্য হয়।

রেড কী করে?

শূকর দ্বীপ থেকে ডিম উদ্ধারের কথা ভাবে?

বুদ্ধি করে বিশাল ভেলাও বানিয়ে ফেলে।

তারপর?

তারপর নেমে পড়ে ডিম উদ্ধারে।

শেষমেশ পারে তারা?

কী?

ডিম উদ্ধার করতে?

পারলে পারে, না পারলে পারে না; সেটা নিজেরাই দেখে নাও।

আর আমাদের জানিও; কেমন লাগলো তোমাদের সে কথা...

 

 

 

       

এ বিভাগের আরো খবর