যার যতো আবদার সবই মাকে ঘিরে।
মায়েরাও বড্ড পাগলাটে!
ছোটরা কোনো আবদার করলে, একটু কান্নাকাটির ভান করলেই হলো।
নিজেদের মধ্যে আর স্থির থাকতে পারেন না।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে, একটু বকাঝকা করে ঠিকই সন্তানের আবদার মেটাতে উঠে পড়ে লেগে যান।
বাবাকে ফাঁকি দিয়ে, ছোট্টমোট্ট সন্তানটাকে ছোট করে চোখ টিপে কতো কি বুঝিয়ে দিতে পারেন মায়েরা!
আসলে হয়েছে কি জানো, জগতের সব মা-ই এমন।
আয়নার সামনে দাঁড়ালে তোমরা যেমন নিজেকে দেখতে পাও, মায়েরা কিন্তু ঠিক তেমনি আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেদের চেহারার সঙ্গে সন্তানদেরও দেখতে পান।
তাই তো নিজের চেয়েও বড্ড বেশি ভালোবাসেন সন্তানদের।
তোমরাও নিশ্চয়ই ভালোবাসো মাকে।
এই ভালোবাসার কথা চাইলে বলতেও পারো মাকে।
বলতে না চাইলে আর যা-যা করে বুঝাতে পারো তা হচ্ছে-
মায়ের প্রিয়
মায়ের পছন্দের কিছু বাবা, আপু বা ভাইয়াকে দিয়ে কিনিয়ে আনতে পারো।
সকালে মা ঘুম থেকে উঠার আগেই মায়ের ঘরে ডুকে তার হাতে সেটা ধরিয়ে দিতে পারো।
রঙ পেন্সিল আর খাতা
কিছু কিনতে না পারলেও সমস্যা নেই।
এখন তো অনেক সময়।
মানে ঘরে থাকার দিন।
তাই একটু সময় করে রঙ পেন্সিল আর খাতা নিয়ে বসে পড়ো।
একটা রঙিন ছবি এঁকে তাও মাকে গিফট হিসেবে দিতে পারো।
বিমান, নৌকা বা ফুল
ছবি আঁকতে না পারলে সাদা একটা কাগজ দিয়ে বিমান, নৌকা কিংবা ফুল বানিয়েও দিতে পারো মাকে।
মা তোমায় ভালোবাসি
তাও যদি না পারো, তাহলে রঙ পেন্সিল দিয়ে কাগজে ‘মা তোমায় ভালোবাসি’ কথাটা লিখে উপহার দিতে পারো।
মুখে ফিসফিস
এতেও যদি কোনো সমস্যা হয় তবে এক কাজ করবে, সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের রুমে ঢুকে পড়বে সুড়সুড় করে।
মায়ের বিছানার পাশে গিয়ে তাকে ডেকে তুলে জড়িয়ে ধরে রাখবে কিছুক্ষণ।
তারপর আদর দিয়ে কানের কাছে মুখটা নিয়ে ফিসফিস করে বলবে, মা, তুমি অনেক ভালো।
আমি তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসি।
ঠিক যেমন তুমি ভালোবাসো আমায়!
এতেই কাজ হয়ে যাবে!
মাকে নিয়ে এছাড়াও যে কোন পরিকল্পনা করতে পারো।
চমকে দিতে পারো মাকে।
হুটহাট তোমার এমন কাণ্ডে মা অবাক হবেন।
আর তখন অন্যরকম লাগবে মাকে।
এই অন্যরকম মাকেও অনেক অনেক ভালো লাগবে তোমার।
ঠিক মায়ের যেমন ভালো লাগে তোমাকে; তেমন।
বুঝছো, হুঁ?