আঁকতেন হাঁসজারু, হাতিমি
একটা হাঁস আর একটা সজারু মিলিয়ে তিনি আঁকতেন হাঁসজারু!
আবার একটা হাতির মাথার সঙ্গে জড়িয়ে আঁকতেন হাতিমি।
এমন আরও কত কী!
উলট পালট বিষয়
এই আঁকিয়েটা আবার লিখতেন ছড়া-কবিতা।
লিখতেন গল্পও।
তার লেখার বিষয়-আশয়ও ছিলো সব উলট পালট।
তবে তার লেখা খুব ভালো লাগতো পুঁচকে-পাঁচকেদের।
তিনিও পুঁচকে পাঁচকেদের জন্য লিখে মজা পেতেন বেশ।
বিলেতের পড়া
পড়ালেখায়ও বেশ মাথা ছিল তার।
দুটো বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছিলেন তিনি।
আবার ১৯১১ সালে তিনি বিলেতে গিয়ে পড়েছেন ফটোগ্রাফি ও প্রিন্টিংয়ের ওপরও।
ননসেন্স ক্লাব
তিনি যখন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তেন, তখন ‘ননসেন্স ক্লাব’ নামে একটি ক্লাব গড়ে তোলেন।
এই ক্লাব থেকে ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
মানডে ক্লাব
আবার ১৯১৩ সালে তিনি বিলেত থেকে, মানে বর্তমান ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ‘মানডে ক্লাব’ নামে একটি ক্লাব গড়ে তোলেন।
এই ক্লাবে ‘জুতো সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ’-এমন সব বিষয়ই আলোচনা হতো।
ছোটদের ‘সন্দেশ’
তার বাবা ছিলেন আরেক গুণী লোক। নাম-উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী।
শুরুতে বাবার সঙ্গে এবং পরে নিজেই বের করতেন ছোটদের জন্য ‘সন্দেশ’ নামের বিখ্যাত এক পত্রিকা।
অল ইন ওয়ান
নিজের লেখার সঙ্গে তিনি নিজেই আঁকতেন কার্টুন। তাই চাইলে তোমরা তাকে অল ইন ওয়ানও বলতে পারো।
আবোল তাবোল
তার লেখা বইয়ের নামগুলোও অসাধারণ! যেমন-
আবোল তাবোল
হ-য-ব-র-ল
পাগলা দাশু
খাই খাই
এবং
অবাক জলপানের মতো আরও অনেক অনেক মজার বইয়ের লেখক তিনি।
নাম তার সুকুমার
এই লেখকটা আর এই আঁকিয়েটাকে নিশ্চয়ই তোমরা চিনে ফেলেছো।
তবু তার নামটা না বলে পারছি না।
কারণ, তিনি যে তোমাদের মতো আমারও অনেক প্রিয় লেখক।
বলি, তার নাম সুকুমার রায়।
আকাশপুরে পাড়ি
১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতায় জন্ম নেওয়া এই ভাবুকটা, এই আঁকিয়েটা মাত্র ৩৬ বছর বয়সে আকাশপুরে পাড়ি জমান।
সত্যজিৎ
তোমরা তো সত্যজিৎ রায়ের নাম শুনেছো।
সত্যজিৎ রায় নামের পৃথিবীখ্যাত চলচ্চিত্রকার কিন্তু সুকুমার রায়েরই ছেলে।
পড়ো আর ভাবনা পাঠাও
এই ভাবুকটার লেখা তো অনেকেই পড়েছো।
যারা এখনও পড়োনি তারা আর দেরি করো না।
আজই পড়তে বসো। আর চাইলে তার লেখা, তার আঁকা নিয়ে তোমাদের ভাবনাও পাঠাতে পারো আমাদের...