বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাঁকে খোঁজো রাতের আকাশে...

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২০ ০৮:৫৮

যেখানে যা দেখতেন তা নিয়েই ভাবনায় পড়তেন তিনি।

ভাবুকটার নাম শেখ মুজিবুর রহমান।

তবে সবাই তাকে আদর করে খোকা নামেই ডাকতেন।

ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুুঙ্গিপাড়া গ্রামে খোকার জন্ম।

গ্রামের সবুজ দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিলো খোকার।

এর ভেতর ১৯২৭ সালে ভাবুকটাকে তার বাবা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।

নয় বছর বয়সে এসে ভর্তি হন গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে।

ভালোই কাটছিলো স্কুলের দিনগুলো।

পথে কাউকে কষ্টে দেখলে তর সইতো না।

নিজের গায়ের জামাটা খুলেও দিয়ে আসতেন।

দিয়ে দিতেন রোদ-বৃষ্টির সঙ্গী ছাতাটাও।

১৯৩৭ সালে দরদি ভাবুকটা সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনষ্টিটিউট মিশন স্কুলে।

কী, ভাবছো এতো বছর লেগে গেলো সপ্তম শ্রেণি ডিঙ্গাতে?

আসলে ১৯৩৪ সাল থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেননি চোখের সমস্যার কারণে।

পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।

তবে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে উঠেই তিনি যুদ্ধে হাঁটা ধরলেন। তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেফতারও হন।

তাতে কী, ভাবুকটা মোটেও বিচলিত নন এসবে।

ম্যাট্রিকুলেশন পাসের পর চলে যান কলকাতায়।

ভর্তি হন ইসলামিয়া কলেজে।

সেখানেই পরিচয় হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকসহ নামিদামি নেতাদের সঙ্গে।

তাদের অনুপ্রেরণায় তিনি ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে বেশ নাম কুড়িয়ে নেন।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন, বাঙালি আসলে স্বাধীনতা লাভ করেনি।

শুরু হয় তার নতুন যুদ্ধ!

অনেক আন্দোলন করলেন দেশের জন্য।

তার সাহসিকতা আর দরদ দেখে ছাত্র-জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়ে দেয়।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মার্চের অসহযোগ আন্দোলনের সময় ছাত্রসমাজ বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক আখ্যায়িত করে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবন থেকে ওয়্যারলেসযোগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

স্বাধীনতা ঘোষণার পর তাকে বন্দি করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে চলতে থাকে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ।

দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় ছিনিয়ে আনে।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বিজয়ীর বেশে স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন।

১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজ বাসভবনে ঘাতকদের হাতে সপরিবারে তিনি তারা হয়ে আকাশের দেশে চলে যান।

এই ভাবুক খোকার হাত ধরেই এসেছে আমাদের স্বাধীনতা।

 

এখন চলছে তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। বলি, তাকে কোথাও খুঁজে না পেলে রাতের আকাশটা দেখো। দূরে মিটিমিটি জ্বলতে থাকা কোনো একটি তারার মাঝেই খুঁজে পাবে ভাবুকটাকে...

এ বিভাগের আরো খবর