বরফে উপুড়
পেঙ্গুইনরা দক্ষ সাঁতারু। সাঁতরে মাছ তাড়া করে তা ধরে কপাৎ করে গিলে খায়।
হাঁসের মতো হাঁটলেও বরফের ওপর দিয়ে চলার জন্য তারা উপুড় হয়ে শুয়ে দুই হাতডানা নেড়েচেড়ে বরফের ওপর দিয়ে সাঁই গাড়ির মতো করে দ্রুত চলে যেতে পারে।
হাঁসের মতো হাঁটে
পেঙ্গুইনের সবচেয়ে মজার খাবার হলো মাছ।
এ ছাড়া চিংড়ি ও স্কুইড জাতীয় প্রাণীও পেঙ্গুইনের ভীষণ পছন্দ।
প্রাণীটি জলের তিনশ’ ফুট গভীর পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
আর এতো গভীরে গিয়ে সেখান থেকে ওপরে ওঠার জন্য যে বায়ুর প্রয়োজন, তা গ্রহণ করার মতো যথেষ্ট শক্তিও আছে তাদের।
খাবার সংগ্রহ করার সময় ছাড়া বেশিরভাগ সময় পেঙ্গুইনের কাটে সমুদ্রের উপকূল এলাকায়। ভূমিতে অবস্থানকালে তাদের সময় কাটে হাঁসের মতো হাঁটাহাঁটি করে। কখনো আবার দৌড়ায়।
বাবা-মায়ের সঙ্গে আমিও যাচ্ছি সম্মেলনে
ডিম দিয়েই দৌড়...
পেঙ্গুইনরা সাধারণত বিশ্রাম নেওয়ার কাজটি সারে ভূমিতে।
প্রজননকালে ভূমিতেই ডিম দেয় মা পেঙ্গুইন।
ডিম দিয়েই মা পেঙ্গুইন দৌড় দেয় সাগরে।
আর ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটানো এবং শত্রুর আক্রমণ থেকে বাচ্চাদের বাঁচানোর কাজ পড়ে বাবার ওপর।
রানী পেঙ্গুইন
ভূমধ্যসাগরীয় তীরবর্তী অঞ্চলে এক ধরনের নারী পেঙ্গুইন আছে, যেগুলোর আচার-আচরণ অনেকটা রানীর মতো।
তাদের থাকার ঘরগুলো বরফে ঢাকা।
সেই বরফ ঘরেই ডিম দেয়।
ডিম দিয়ে এই রানী পেঙ্গুইনরাও নেমে যায় ভূমধ্যসাগরের জলে।
বাবার উপবাস
ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটানো ও সেগুলোকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেওয়া বাবা পেঙ্গুইনরা প্রায় দুই মাসের মতো ডিমে তা দেয়।
তা দেওয়ার কাজটি করে অনেকটা খাড়া হয়ে।
মূলত পা দুটি দিয়ে ভালোভাবে ডিম উষষ্ণ রাখার কাজটি করে।
এ সময় ডিমটি ঘিরে বারবার ঘোরাঘুরি করে।
মজার ব্যাপার হলো, ডিমে তা দেওয়াকালে পুরুষ পেঙ্গুইন কিছুই খায় না; উপবাস থাকে!
জল আয়নায় কে হেঁটে যায়?
ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার
৫০-৬০ দিন পর তাদের ছোট পাখনা বড় হয়।
একেবারে বড়দের মতো।
তখন তারা ছোটে সাগরে।
টানা উড়তে থাকে পানির মধ্যে।
একটু পরপর ডাইভও দেয় বাচ্চা পেঙ্গুইনরা।
আস্তে আস্তে তারা সাঁতারে পারদর্শী হয়ে ওঠে।
অ্যাডিলি পেঙ্গুইন নামে এক প্রজাতির পেঙ্গুইন তো ঘণ্টায় ৪৫ মাইল বা ৭২ কিলোমিটার সাঁতার কাটতে পারে।
সম্মেলনের জন্য আকাশও প্রস্তুত...
ক’দিন পরেই সম্মেলন
শীত হচ্ছে পেঙ্গুইনদের সম্মেলন ঋতু।
এই ঋতুতে তারা বেশ আয়োজনে সম্মেলন করে।
রাজ্যের সব পেঙ্গুইন যোগ দেয় সেই সম্মেলনে।
হিমশৈলের ওপর দলে দলে বড়-ছোট পেঙ্গুইন এসে জড়ো হয়।
তারপর শুরু হয় আলাপ-আলোচনা।
অনেক জটিল সিদ্ধান্ত আর সহজ-সরল কথাও হয় সেই সম্মেলনে। সম্মেলনে যোগ দিতে চাইলে ছোট পেঙ্গুইনদের কমপক্ষে ২২ দিন বয়স হতে হয়।
কেননা, ২২ দিনের আগে তারা বড়দের মতো হাঁটাচলা করতে পারে না। চাইলে এবারের সম্মেলনে তুমিও যোগ দিতে পারো। সম্মেলনেটা হবে অ্যান্টার্টিকায়।
প্রস্তুতি নাও...
প্রাণীদের এমন আজব-বিজব ঘটনা চাইলে তোমরাও আমাদের জানাতে পারো। আমরা তা প্রকাশ করবো কিডজোনে।
সঙ্গে তোমার নাম, বয়স, শ্রেণি ও স্কুলের নাম লিখে দিও।
আমাদের কাছে লেখা পাঠানোর ঠিকানা newsbanglakid@gmail.com