হাঙর দেখে যারা ভয় পাও আর যারা হাঙরকে উল্টো ভয় দেখাতে চাও, তারা জেনে নাও এই তথ্যগুলো।
পিগমি হাঙর
ভয় বেড়ে গেল? ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। দুনিয়ায় অনেক ছোট হাঙর আছে। এই ধরো তোমার বাম হাতের সমান।
সবচেয়ে ছোট এই হাঙর লম্বায় মাত্র ৯ ইঞ্চি।
এই পিচ্চিদের বলে পিগমি হাঙর।
লম্বায় ৩৯ ফুট
সাগরতীরে কম চলাফেরা করলেও হাঙররা সমুদ্রের গভীরে চলাফেরা করতেই ভালোবাসে।
ছবিতে ইয়াব্বড় হাঙর দেখে যারা ভয় পাও, তাদের বলি, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হাঙরকে বলা হয় তিমি হাঙর।
লম্বায় এই ধরো ৩৯ ফুটের মতো হয় তারা।
চোয়ালের শক্তি
অন্য আট-দশটা প্রাণীর চেয়ে হাঙরের কঙ্কাল পুরোই আলাদা।
এই ভিন্নতার অন্যতম কারণ হচ্ছে চোয়াল।
হাঙরের চোয়ালে শক্তি অনেক।
ফলে তাদের গঠনও অন্যরকম।
টেসেরি নামের একটি স্তর আছে চোয়ালের কাছে, যা তাদের চোয়ালে শক্তি যোগায়।
কান বাড়িয়ে ৫০০ মিটার
সাগরে থাকা প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুনতে পায় তিমি হাঙর।
নিজের অবস্থান থেকে ৫০০ মিটার দূরে সামুদ্রিক মাছের লেজ নাড়ানোও শুনতে পায় তারা।
ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার
গভীর সমুদ্রে শক্তিশালী আরেক হাঙরের দেখা মিলে, যাদের শরীর সাদা মেঘের মতো।
এরা এতই শক্তিশালী যে, ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাঁতরে যেতে পারে। ভাবা যায়!
পেছনের দাঁতে শক্তি
হাঙরের সামনের দাঁতে যে শক্তি দেখা যায়, তার সাপোর্ট কিন্তু পেছনের দাঁত থেকেই আসে।
সামনের বড় দাঁতের পেছনেই ছোট আরেক সারি দাঁত আছে তাদের।
সেই দাঁত সামনের বড় দাঁতে শক্তি জোগায়।
হাঙর ছানা
জন্মের পর থেকেই হাঙর ছানা নিজের যত্ন নিতে শিখে যায়। মা কুকুরের মতো মা হাঙরও ছানাকে শিকারের নানা কৌশল শেখায়।
শরীর ঠিক রাখতে খাওয়া
মাংস না খেলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিকঠাক রাখতে পারে না হাঙর।
এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তারা মাংসের পেছনে ছুটে।
সুইমিংপুলে
একটি বড়োসড়ো হাঙর এনে দিব্যি সুইমিংপুলে ধরে রাখা যাবে।
কীভাবে?
বেশি কিছু না, শুধু এক ফোঁটা তাজা রক্ত সুইমিংপুলে ছড়িয়ে দিলেই চলবে!