লাফিয়ে চলা এই প্রাণীকে তো অনেকেই দেখেছো।
দুই পায়ে বেশ ভালো আর দ্রুত লাফিয়ে চলে।
আবার ভেবো না, তাদের পা দুটি।
চার পা থাকলেও তারা সামনের দু পা খুব কম কাজে লাগায়।
তা ছাড়া চার পায়ে চলতে গেলে তাল ঠিক রাখতে পারে না ওরা।
তখন ছুটে চলাটা খুব ধীর হয়ে যায়।
দুনিয়ায় চার ধরনের ক্যাঙ্গারু আছে।
লাল ক্যাঙ্গারু, ইস্টার্ন গ্রে ক্যাঙ্গারু, ওয়েস্টার্ন গ্রে ক্যাঙ্গারু আর অ্যান্টিলোপাইন ক্যাঙ্গারু।
ক্যাঙ্গারু এক লাফে তিন মিটার চলে যেতে পারে।
আর প্রায় ১০ ফুট উপরে উঠতে পারে।
একেক লাফের দূরত্ব প্রায় ২৫ ফুট।
এরা ঘণ্টায় দৌড়াতে পারে ৬৫ কিলোমিটার বেগে।
দৌড়ের এই গতি দ্রুতগামী ঘোড়ার সমান।
তবে ওরা পিছনের দিকে হাঁটতে পারে না।
তাতে কী; খুব দক্ষ সাঁতারুর মতো দিব্যি সাঁতার কাটতে পারে ওরা।
মায়ের পেটে সাত সপ্তাহ কাটানোর পর জন্ম নেয় ক্যাঙ্গারু ছানা।
জন্মের পর তাদের আশ্রয় হয় মায়ের থলের ভিতর।
কয়েক মাস মায়ের পেটের কাছে থাকা থলের ভিতর কাটায়।
তারপর যখন ভাবে এবার সে নিজেই চলতে-ফিরতে পারবে, অমনি লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসে থলে থেকে।
এরপর আস্তে আস্তে সে থলে মা ক্যাঙ্গারুর শরীরে আবার মিলিয়ে যায়।
লাল ক্যাঙ্গারুই হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় থলে অলা প্রাণী।
বুনো ক্যাঙ্গারু ছয় বছর বাঁচে।
ক্যাঙ্গারুর লেজ দেখেছো?
দেখেই মনে হয় বেশ শক্ত-পোক্ত।
না হয়ে উপায় আছে?
লাফানোর সময় এই লেজ দিয়েই তো শরীর নিয়ন্ত্রণ করে ওরা।
মানে এই লেজে ভর দিয়েই তারা দৌড়ানোর সময় ভারসাম্য রক্ষা করে।
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বড় লাফ দিয়ে চলা এই ক্যাঙ্গু বাবুদের প্রধান খাবার হচ্ছে ঘাস আর পানি।
আবার ভেবো না যে, বড় ক্যাঙ্গারু অন্য কিছু খায়। তারাও অই পিচ্চি ক্যাঙ্গারুদের মতো ঘাস পানি খেয়ে জীবন কাটিয়ে দেয়।
ক্যাঙ্গারু মানে কী তা জানা যায় না।
আসলে হয়েছে কী, ব্রিটিশরা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর পর এই আজব প্রাণী দেখে এক আদিবাসীর কাছে জানতে চেয়েছিল, ওটার নাম কী।
আদিবাসী লোক কথা ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি। তাই সে নিজের ভাষায় বলেছিলো, ‘গ্যানগুররু’।
আর এটাই পরিবর্তিত হয়ে ক্যাঙ্গারু হয়ে গেছে।
ওদের আসল নাম যে কী, আজ অব্দি সেটা জানা যায়নি।
জানার দরকারও পড়েনি। এই নামটাই বা মন্দ কি?
তোমরা তো জানোই, ক্যাঙ্গারু কেবল অস্ট্রেলিয়াতেই থাকে।
আমি ভাবছি, ওদের জন্ম যদি বাংলাদেশে হতো, তখন নাম কী হতো;
ব্যাঙ্গারু?