জলের নিচে বাস। কার? তার।
তার মাথা আর হাতসহ শরীরের উপরের অংশটা মানুষের।
মানে, নারীর। আর নিচের অংশটা মাছের।
মাছের মতোই লেজ, আঁশ।
মাছের মতোই সাঁতরে বেড়ায় গভীর সমুদ্রের তলে।
মাঝেমধ্যে ডাঙায়ও ওঠে। আর মানুষ দেখলেই এক ছুটে দেয় ডুব।
সব মানুষ দেখলেই যে ডুব দেয়, সাঁতরে পালায়, তা কিন্তু নয়।
ছোটদের খুব ভালোবাসে; সে কথাও শোনা যায়।
কই শোনা যায়?
কই আবার!
রূপকথার বইয়ে।
কারণ ওদের তো বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই।
ওরা তো কল্পনার প্রাণী।
মানুষ ওদের নিয়ে গল্প লিখে।
ছবি আঁকে।
এমনকি ওদের নিয়ে সিনেমা-কার্টুন ছবিও বানায়। আর ইংরেজিতে ওদের নাম রাখা হয়েছে ‘মারমেইড’; বাংলায় ‘মৎস্যকন্যা’।
‘মারমেইড’ শব্দ দুটি ফরাসি শব্দ থেকে এসেছে।
‘মার’ অর্থ ‘সমুদ্র’, আর ‘মেইড’ অর্থ ‘বালিকা’ বা ‘তরুণী’।
তার মানে, সমুদ্রের বালিকা; আর সহজ করে বললে, ‘মৎস্যকন্যা’।
মৎস্যকন্যারা অনেক রঙিন হয়। হয় অনেক লক্ষ্মী। সাধারণত কারও কোনো ক্ষতি করে না।
এই কাল্পনিক প্রাণীকে তোমরা অনেক ভালোবাসো।
ওকে নিয়ে নতুন নতুন গল্প লিখো।
ছবি আঁকো।
ভাব জমাও।
এই গল্প।
এই ছবি।
আর এই ভাবনা পাঠিয়ে দাও আমাদের কাছে।
আমরা এখানে তা প্রকাশ করব কিড জোনে।
আমাদের ঠিকানা: newsbanglakid@gmail.com