করোনার আগে ভ্যাকেশান ছিল অনেক অনেক আনন্দের। এখন তেমন ভালো লাগছে না ভ্যাকেশান। সে যাক, আগেও মা-পাপার সঙ্গে মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম, তখন একেবারে পিচ্চি ছিলাম তাই কিছু মনে নেই।
এখন একটু বড় হয়েছি। ক্লাস ওয়ানে পড়ি। তো মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। বিশাল প্লেন। পাখির মতো ডানা। মেঘের ভেতর হারিয়ে যেতে যেতে পৌঁছে যাই মালয়েশিয়ায়।
সেখানে অনেক জায়গায় ঘুরেছি। তার মধ্যে বার্ড পার্ক সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। নানা রঙের পাখির মেলা সেখানে। সাদা বকের মতো অসংখ্য পাখি ঘুরে বেড়াচ্ছে সব জায়গায়।
আমিও পাখিদের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছি। বার্ড পার্কের মধ্যেই আছে পাখিদের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ। রঙিন সব পাখির সঙ্গে আমি ছবি তুলেছি। আমার দু’হাতে পাখিগুলো যখন বসেছিলো তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম।
তবে হাতে বসার পর দারুণ মজা পেয়েছি। ভয়ও লাগেনি। বার্ড পার্কের ভেতরেই আছে ছোট্ট একটি মিউজিয়াম। আছে ছোট ছোট লেক। রাইডও আছে।
আরেকটি দারুণ জায়গায় গিয়েছিলাম, সেটি হলো বাটারফ্লাই পার্ক। নানা রঙের প্রজাপতি। লাল নীল সবুজ হলুদ কমলা আরও কত রঙের প্রজাপতি ছুটে বেড়াচ্ছে। এত প্রজাপতি এক সঙ্গে কখনও দেখিনি।
এই হচ্ছে গালিবার আঙ্কেল; দেখো কে লম্বা?
আমার হাতেও বসেছিল প্রজাপতি। প্রজাপতিগুলোর সঙ্গে অনেকক্ষণ খেলেছি। শুধু প্রজাপতি নয়, বাটারফ্লাই পার্কের ভেতরে আছে কাচের বাক্সে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়। দেখলেই ভয় লাগে, কী বড় বড় পোকা।
আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । একদিন গেন্টিং হাইল্যান্ডে গিয়েছিলাম, প্রথমে যেতে হয় বাসে তারপর ক্যাবল কারে। নিচু থেকে অনেক উঁচুতে উঠতে থাকে কেবল কারগুলো।
গেন্টিংয়ের থিম পার্কে মজার মজার সব গেমস ছিলো। আমি অনেক গেমস খেলেছি, গাড়ির গেমস সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
হঠাৎ পাপা দেখালেন এক গালিভার আংকেলকে। আংকেলের সঙ্গে ছবি তুললাম। তিনি আদরও করলেন আমাকে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথায় তোমার দেশ?’ বললাম, বাংলাদেশ।
তার দেশ আফ্রিকার ঘানায়। এতো লম্বা আংকেল আমি আগে কখনও দেখিনি।
আরো অনেক মজা করেছি সেখানে। তবে আসার বিমানে উঠতেই মন খারাপ হয়ে গেলো।
আরাব প্রথম শ্রেণিতে পড়ে ঢাকার সামার ফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে