ইশকুল ছুটি। বাড়িতে অলস দিন কাটাচ্ছো অনেকেই। তবে রুটিন করে এখন আর বইয়ের সামনে গোমরা মুখে বসতে হবে না। তোমাদের এই ঘরে থাকা দিন আনন্দময় করতে কৌতুকগুলো পড়ি, চলো...
খালি পুল তাদের জন্য...
হাবলুর সঙ্গে গল্প করছে গাবলু। হাবলু বলে, 'জানিস, আমাদের ঢাকার বাড়িতে আব্বু তিনটা সুইমিংপুল বানিয়েছেন।'
'তাই নাকি?' অবাক হয়ে বলে গাবলু।
হাবলু বলে, 'হ্যাঁ। সেই তিনটে সুইমিংপুলের একটিতে গরম পানি, একটায় ঠান্ডা পানি আর অন্যটায় কোনো পানিই থাকবে না।'
গাবলু বলে, 'গরম পানি আর ঠান্ডা পানিরটা বুঝলাম। কিন্তু পানি ছাড়া খালি সুইমিংপুলের বিষয়টা তো বুঝলাম না?'
হাবলু বলে, 'খালি পুলটা তাদের জন্য, যারা সাঁতার জানে না।'
এক টাকায় চকলেট
ক্লাসে এসে ম্যাডাম বললেন, 'আচ্ছা এক টাকায় যদি ৫০টা চকলেট পাওয়া যায়, তবে একটা চকলেটের দাম কত পড়বে?'
হাবলু বলে, 'এত কম দামে তো কেউ চকলেট দেয় না ম্যাম!'
ডলার চাওয়া ভিক্ষুক
রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে হাবলু। ভিক্ষুক এসে বলেন, 'ভাই টাকা-পয়সা নেই। একটা টাকা দেবেন, বাড়ি যাব।'
হাবলু পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে বলে, 'দেখুন, পকেটে তো টাকা নেই, সব ডলার।'
ভিক্ষুক বলেন, 'তো ডলারই দেন। বিমানে করেই না হয় বাড়ি যাব।'
হাবলু-গাবলুর পরীক্ষা
ছুটির পরই হাবলু-গাবলুর পরীক্ষা। তাই রাত জেগে পড়ছে। হঠাৎ হাবলু জিজ্ঞেস করে, ‘কয়টা বাজেরে গাবলু?’
গাবলুর কাছে ঘড়ি নেই। কী করা। সে একটা বুদ্ধি বের করলো। ‘দাঁড়া’...।
এই বলে একটা পাথর কুড়িয়ে পাশের বাড়ির টিনের চালে মারল। অমনি এক নারী হম্বিতম্বি ভাব নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে বলল, ‘অই বদের হাড্ডিরা, রাতের তিনটা বাজে এখনও ঘুমোসনি তোরা?’
গাবলু বলে, ‘ও হাবলু, এখন তিনটা বাজে। চল ঘুমিয়ে পড়ি।’
আমি অন্ধ না স্যার; বোবা
বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হলো হাবলু। রাস্তায় এক ভিক্ষুককে দেখে কিছুটা সন্দেহ জাগল তার মনে।
কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, 'আচ্ছা, আপনাকে দেখে তো অন্ধ মনে হচ্ছে না। অথচ অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছেন?'
লোকটা এদিক-সেদিক তাকিয়ে বললেন, 'ঠিকই বুঝতে পেরেছেন স্যার। আসলে যে অন্ধ, সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আমি অন্ধ না স্যার; বোবা!'