বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হট হুইলস কার সংগ্রাহক রিদম

  • নিউজবাংলা চিলড্রেন ডেস্ক    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২০ ১৮:৫২

 

আমেরিকার হট হুইলস খেলনা গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান 'মেটাল' প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ব্যাপক জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠান।

এই মেটাল কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাজারে আসে ব্রিটিশ কোম্পানি লেজনি। যারা এই খেলনা গাড়িগুলো ম্যাচবক্স নামে বাজারে ছাড়ে। হট হুইলস কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তারা উৎপাদন করেছে প্রায় ৭ বিলিয়নেরও বেশি খেলনা গাড়ি।

বিশ্বে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় এই হট হুইলস গাড়ি। শুধু ছোটরাই নয়, বড়দের কাছেও সমান জনপ্রিয় এই খেলনা গাড়িগুলো। এমনকি আমেরিকাতে হট হুইলস কালেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনও আছে। যার সদস্য প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি। রিদমও চাচ্ছে এর সঙ্গে যুক্ত হতে।

বড্ড একরোখা ছেলে রিদম। তাকে নিয়ে ভীষণ ভাবনায় পড়েন বাবা। কোথাও তাকে এক মিনিট বসানো যায় না। আর কোনো কিছু হাতে পেলে তা নষ্ট করতে তার সেকেন্ডও লাগে না!

 

 

দিনমান খেলাধুলা আর দুষ্টুমিতে মেতে থাকা রিদমের বাবা আহসানুল হকও ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন ভাবেন না। বাবা নিজেই রিদমকে পরিচিত করিয়ে দিলেন ডাকটিকিটের সঙ্গে। এনে দিলেন নানা দেশের ডাকটিকিট।

তার নিজের কাছে থাকা ডাকটিকিটও দিলেন ছেলেকে। রিদম এতে খুশি হলো ঠিকই, কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে ওসবের আর হদিস মেলে না আর। বাবা এনে দিলেন বিভিন্ন ধরনের স্টিকার। তারও খবর পাওয়া যায় না কিছুদিন পর।

এর ভেতর হঠাৎ বাবা খেয়াল করলেন রিদম বেশ মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা করছে। বাবা দেখলেন, ছোট ছোট খেলনা গাড়ি নিয়ে রিদম খেলছে। বাবাকে দেখে বললো, 'এগুলো হট হুইলস কার। আমার বন্ধুর কাছ থেকে এনেছি।'

এই বলেই গাড়িগুলোর বর্ণনা দিতে শুরু করলো। বাবা বললেন, 'তুমি যদি দুষ্টুমি কমিয়ে দাও এবং লেখাপড়ায় মনোযোগী হও তবে এমন অনেক হট হুইলস কার তোমাকে এনে দেবো।'

 

 

রিদম 'ইয়ে' বলে চিৎকার করে উঠলো!

সেদিন থেকেই শুরু হলো শিশু সংগ্রাহক সাদমান হক রিদমের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংগ্রহের জীবন। শুধু বাবাই নয়, রিদমকে তার সংগ্রহের জন্য হট হুইলস গাড়ি উপহার দিয়েছেন তার নানা, মামা, খালু, মা-বোন সবাই। এর মাঝেই রিদম সংগ্রহ করে ফেলেছে একশোর মতো গাড়ি।

এখন রিদম খুশি, খুশি তার বাবাও। রিদমের বাবা মনে করেন প্রতিটি শিশুর লেখাপড়ার পাশাপাশি কোনো না কোনো শখ এবং সংগ্রহের মাঝে জড়িত থাকা উচিত। 

এ বিভাগের আরো খবর