শামুক দেখলেই অনেকের আদর করতে ইচ্ছে করে। কেউ আবার ভয় পায়। এই প্রাণী নিয়ে অদ্ভুতুড়ে কিছু তথ্য হাজির করেছি আজ।
দুনিয়ায় তিন ধরনের শামুক হয়। এক ধরনের শামুক থাকে স্থলভাগে। মানে মাটির উপরে। আরেক দল সমুদ্রে। অন্য দলটি থাকে স্বচ্ছ পানিতে।
কিছু শামুকের থাকে ফুলকা। কিছু শামুকের থাকে ফুসফুস।
বিজ্ঞানীরা বলেন, সামুদ্রিক শামুকের সাধারণত ফুসফুস থাকে। আর স্থলভাগের শামুকের থাকে ফুলকা।
বুঝলে তো, কী দিয়ে ওরা শ্বাস নেয়?
বেশির ভাগ শামুকেরই রয়েছে রবারের মতো জিহ্বা। আর ওদের দাঁত থাকে জিহ্বায়। তা-ও সংখ্যায় হাজার হাজার। অবশ্য খুবই পুঁচকে এগুলো।
শামুকের প্রিয় খাবার লতাপাতা, শাকসবজি আর ফলমূল। তবে সামুদ্রিক বড় শামুক মাংসাশী হয়। অতএব সাবধান।
স্থলভাগের সবচেয়ে বড় শামুক পাওয়া যায় আফ্রিকায়। নাম ‘স্থলভাগের দৈত্যাকার আফ্রিকান শামুক’।
ওরা আকারে ১৫ ইঞ্চি; ওজনে এক কেজির মতো হয়ে থাকে।
সামুদ্রিক শামুকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতির নাম ‘সিরিক্স’। ওরা আকারে ৩৫ ইঞ্চির মতো হয়ে থাকে। ওজন ১৮ কেজি পর্যন্ত হয়।
বাগানে তোমরা যারা শামুকের হাঁটাচলা দেখেছো, তারা তো বুঝেই গেছো, ওরা খুব অলস ধরনের। খুব ধীরে হাঁটে।
কতটা ধীরে? এই ধরো, টানা এক ঘণ্টা জোরে হাঁটলেও যেতে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ মিটার বা ৫০ গজের মতো।
এ জন্যই কেউ খুব ধীরে হাঁটলে মানুষ বলে, ‘শামুকের মতো হেঁটো না; জোরে হাঁটো।’
পাঁচ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত আয়ু পায় একেকটি শামুক। কখনও শামুকের মুখোমুখি হলে জেনে নিও তার বয়স। কেমন?