আইসক্রিম খেতে খেতে যারা ভাবো, আহ, কী ঠান্ডা! তারা ভাবতেও পারবে না, অ্যান্টার্কটিকার বরফ কত্তো ঠান্ডা হতে পারে।
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পর্বতগুলোর একটির অবস্থান অ্যান্টার্কটিকায়।
বরফের মহাদেশ বা অ্যান্টার্কটিকার অবস্থান পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষিণে। আয়তন ১ কোটি ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটার। এতো বড় হলে কী হবে, এ মহাদেশ যে বরফে ঢাকা!
ফলে এখানে তোমার-আমার পক্ষে বসবাস করা একদম সম্ভব নয়!
যদিও প্রায় দুই হাজার মানুষ গবেষণার কাজ করছে এখানে।
'অ্যান্টার্কটিকা' একটি গ্রিক শব্দ। যার অর্থ- উত্তরের বিপরীত।
তুমি যতো বরফ দেখেছো এ জীবনে, কতোটুকু মোটা সেগুলো? খুব বেশি নয় নিশ্চয়?
অথচ এ মহাদেশে একেকটি বরফ প্রায় দেড় কিলোমিটারের মতো মোটা; ভাবা যায়!ভাবছো, এতো বরফের কারণে এখানে নিশ্চয়ই নিয়মিত বৃষ্টি হয়? মোটেও না!
এখানে বৃষ্টির ঘটনা এতোই কম যে, এটিকে তোমরা বরং একটা মরুভূমিই ভাবতে পারো। বরফের মরুভূমি!
শীতে তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এলেই আমরা কেঁপে অস্থির হয়ে যাই।
আর ১৯৮৩ সালে বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিলেন মাইনাস ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মানে শূন্য ডিগ্রির চেয়েও ৮৯.২ ডিগ্রি কম!
এবার ভাবো, সত্যি যাবে অ্যান্টার্কটিকায়?নাকি ঘুমের মধ্যেই ঘুরে আসবে বরফের দেশ অ্যান্টার্কটিকা থেকে?