ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট অনেকেই ব্যবহার করেন। প্রযুক্তি ধাপে ধাপে উন্নত হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন হাতের মুঠোয়।
ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটের মতো পেন্সিল, ইরেজার, কাগজেরও আছে ইতিহাস। ধীরে ধীরে এগুলো উন্নত হয়ে আজকে আমাদের পেন্সিল বক্সে জায়গা করে নিয়েছে।
চলো জেনে নিই পেন্সিল, ইরেজার ও কাগজের ইতিহাস।
পেন্সিল
রোমানরা স্টাইলাস নামের চিকন সিসার রড দিয়ে প্যাপিরাসে (প্রথম কাগজ) আঁকিবুকি করত। পরে জানা যায়, সিসা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তখন সিসার বদলে গ্রাফাইট ব্যবহার করা হয়।
১৬৬২ সালে জার্মানরা পলকা গ্রাফাইটকে শক্ত কাঠ দিয়ে বেঁধে উদ্ভাবন করে আধুনিক পেন্সিলের।
তবে ১৮২২ সালে ব্রিটিশ রৌপ্যশিল্পী স্যাম্পসন মরডান প্রথম যান্ত্রিক পেন্সিলের পেটেন্ট করেন।
ইরেজার
ইরেজার উদ্ভাবনের আগে কোনো কিছু মুছে ফেলা বেশ কঠিন ছিল। মানুষ মোছার জন্য কত কিছু যে ব্যবহার করত! পাথর, মোম এমনকি পাউরুটিও বাদ দিত না।
১৭৭০ সালে জানা গেল, একটি গাছের ছাল দিয়ে লেখা যেকোনো কিছু মুছে ফেলা সম্ভব। মানুষ ওই গাছের ছালের নাম দিল রাবার। অবশ্য এই রাবার খুব সহজেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেত।
১৮৩৯ সালে এই সমস্যার সমাধান হয়। ভোলকানাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে তাপ দিয়ে ভঙ্গুর রাবারকে শক্ত করা হলো। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আধুনিক ইরেজার।
কাগজ
মিসরে প্যাপিরাস নামের এক ধরনের গাছ পাওয়া যায়। ওই গাছের পাতার ওপর খুব সহজে লেখা যেত। প্যাপিরাস নাম থেকেই এসেছে পেপার বা কাগজ।
তবে আমরা যে কাগজের ওপর লিখি তার উদ্ভাবন হয় প্রাচীন চীনে।
১০৫ খ্রিষ্টাব্দে হান সাম্রাজ্য প্রথম কাগজের কল স্থাপন করে। পরবর্তী ৫০০ বছরে কাগজ তৈরির আধুনিক ওই কল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্যাপিরাসের ব্যবহার একেবারে কমে যায়।
১৪৪০ সালে ছাপাখানা আসার পর কাগজের কল আরও আধুনিক হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্যাপকভাবে কাগজের উৎপাদন বাড়ানো হয়।