বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:০৬

গাজা থেকে জিম্মিরা মুক্ত হওয়ার পরপরই সেখানকার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের অবশিষ্টাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রোববার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ কথা বলেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, যে দেশটির উদ্যোগে তিন দিন আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, সেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একটি ‘আন্তর্জাতিক’ তদারকিতে এই অভিযান চলবে।

এক বিবৃতিতে কাৎজ বলেছেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি পাওয়ার ধাপটি শেষ হলে ইসরায়েলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জটি হবে গাজায় হামাসের সব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা। এ অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকতে আমি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি।’

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজায় ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। এ ধরনের সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে ইসরায়েলের গোয়েন্দা নজরদারির বাইরে থেকে কাজ করার সুযোগ পায় তারা। এর মধ্যে কিছু সুড়ঙ্গ সীমানার বেড়ার নিচ দিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েছে। এগুলো ব্যবহার করে ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালানোর সুযোগ পায় হামাস।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস সীমান্ত পার হয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে দুই বছর ধরে ইসরায়েলি হামলা চালিয়ে বেশ কিছু সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে দিয়েছে।

মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তি পাওয়ার আগে ইসরায়েলের নেগেভ কারাগারে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংশ্লিষ্ট ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার তুর্কিভিত্তিক টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স মিডিয়া অফিসের প্রকাশিত এবং ইসরায়েলি মিডিয়ার উদ্ধৃতি দেওয়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বন্দিদের হাত পেছনে বাঁধা; চোখও বাঁধা। মাথা নিচু করে লাইনে হাঁটতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের ঘিরে রয়েছে ইসরায়েলি সৈন্য এবং পুলিশ অফিসাররা।

প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ভিডিওটিতে একটি বেদনাদায়ক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। যাদের বিনিময় চুক্তির অধীনে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে, দখলদাররা সেইসব বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন করছে।

ফিলিস্তিনি বন্দি সংশ্লিষ্ট ক্লাবের প্রধান প্রধান আমজাদ আল-নাজ্জার ফেসবুকে লিখেছেন, ইসরায়েলি মিডিয়া নেগেভ কারাগার থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির প্রস্তুতি দেখানো হয়েছে। ক্লিপটির অনুবাদ থেকে বোঝা যাচ্ছে, দেখানো বন্দিরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি। তাদের চুক্তির অংশ হিসেবে গাজায় নির্বাসনের আগে নেগেভের আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলু এজেন্সিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে বেশ কয়েকজন বন্দির বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। পরিবারগুলোকে তাদের আত্মীয়দের মুক্তির পর প্রকাশ্যে উদযাপন না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

আল-কুদস সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, এর আগে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দি তাদের প্রত্যাশিত মুক্তির আনন্দ প্রকাশ করতে পরিবারকে ফোন করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অধীনে ৪৮ জন ইসরায়েলি বন্দীর বিনিময়ে ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে - যার মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আটক ছিলেন ১ হাজার ৭০০ জন। ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় ২৫০ জন বন্দীর নাম প্রকাশ করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর