বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চায় হামাস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:০৬

গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরে চলমান পরোক্ষ আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। এই আলোচনায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের কাছ থেকে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দাবি করেছে।

গত মঙ্গলবার মিসরের শারম আল-শেখে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে গাজা যুদ্ধ শুরুর দ্বিতীয় বার্ষিকীতে হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, গাজা চুক্তির ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ রয়েছে।

হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা ফাওজি বারহুম জানান, তাদের আলোচকরা যুদ্ধের সমাপ্তি ও ‘দখলদার বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’ দাবি করেছেন। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কোনো স্পষ্ট সময়সীমা নেই; প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহার কেবল হামাসের হাতে থাকা ৪৮ ইসরায়েলি বন্দির (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হয়) ফেরতের পরই শুরু হবে।

হামাসসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট এক বিবৃতিতে ‘সব ধরনের প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার’ অঙ্গীকার করে বলেছে, ‘কেউ ফিলিস্তিনি জনগণের অস্ত্র ত্যাগের অধিকার রাখে না,’ যা ট্রাম্প পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবির জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আলোচনার পর আল জাজিরাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হামাস কর্মকর্তা জানান, বন্দিমুক্তি ধাপে ধাপে হবে এবং তা ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারের সময়সূচির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। গত মঙ্গলবারের আলোচনায় মূলত বন্দিমুক্তির সময়সূচি ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মানচিত্র (Map) নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মিসরের রাষ্ট্র-সংশ্লিষ্ট আল কাহেরা নিউজের বরাত দিয়ে বলা হয়, হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হাইয়া জোর দিয়ে বলেছেন, হামাস ‘প্রকৃত নিশ্চয়তা’ চায় যে যুদ্ধ শেষ হবে এবং আর পুনরায় শুরু হবে না। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্বের দুটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার বর্ষপূর্তিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে চলমান সংঘাতকে ইসরায়েলের ‘অস্তিত্ব ও ভবিষ্যতের লড়াই’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে কাজ চালিয়ে যাবে- যার মধ্যে রয়েছে, সব বন্দিকে ফেরত আনা, হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং গাজাকে ইসরায়েলের জন্য আর হুমকি না হতে দেওয়া।

যদিও পার্থক্য থাকলেও আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং উভয় পক্ষই ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার কয়েকটি অংশে সম্মতি দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মধ্যে কাতার, মিসর ও তুরস্ক আলোচনায় নমনীয় অবস্থান নিচ্ছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানান, তারা আলোচনার গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী নতুন প্রস্তাব তৈরি করছেন এবং গতকাল বুধবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি মিসরে অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে যোগ দেবেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে থাকবেন স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার।

তবে যুদ্ধ শেষ হলেও গাজা কে পরিচালনা করবে এবং কে পুনর্গঠনের ব্যয় বহন করবে- এসব প্রশ্ন এখনো অনিশ্চিত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংঘাত পর্যবেক্ষক সংস্থা এসিএলইডি (ACLED) জানায়, গত দুই বছরে গাজায় ১১ হাজারেরও বেশি বিমান ও ড্রোন হামলা এবং অন্তত ৬ হাজার ২৫০টি গোলাবর্ষণ হয়েছে।

তাদের তথ্যানুযায়ী, বৈশ্বিক সংঘাতে নিহতদের মধ্যে ১৪ শতাংশই গাজার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭০১ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন।

সূত্র: আল জাজিরা

এ বিভাগের আরো খবর