বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে কংগ্রেস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৪:৩৮

বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে পার্লামেন্টে যে ওয়াকফ বিল পাস হয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে কংগ্রেস। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি এবং দলের সাধারণ সম্পাদক (যোগাযোগ) জয়রাম রমেশ এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার ভোরে পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল সংবিধান সম্মত কি না তা জানতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে কংগ্রেস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে জয়রাম রমেশ এই বিলের বিরুদ্ধে চলমান আইনি পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দল এরই মধ্যে ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), ২০০৫ সালের তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনের সংশোধনী এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার সংশোধনীর মতো বেশ কয়েকটি আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়ছে। এ ছাড়া, দলটি ১৯৯১ সালের ‘উপাসনাস্থল আইন’ বহাল রাখতে আদালতে হস্তক্ষেপ করছে।

রমেশ বলেন, ‘সিএএ-২০১৯ এর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আরটিআই আইন- ২০০৫ এর ২০১৯ সালের সংশোধনীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার (২০২৪) সংশোধনীর বৈধতার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন অক্ষুণ্ন রাখার জন্য কংগ্রেসের হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কংগ্রেস খুব শিগগিরই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল- ২০২৪ সাংবিধান সম্মত কি না, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবে।’

জয়রাম রমেশ দলের আইনি চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর আস্থা প্রকাশ করে আরও বলেন, মোদি সরকারের যেসব পদক্ষেপকে কংগ্রেস ভারতীয় সংবিধানের নীতিগুলোর ওপর আঘাত হিসেবে দেখে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং মোদি সরকারের ভারতের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নীতি, বিধান ও প্রথাগুলোর ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাব।’

এর আগে, ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় গত বুধবার কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই পাস হয়ে যায় মুসলিমদের সম্পত্তিসংক্রান্ত বিতর্কিত ওয়াকফ বিল। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে লোকসভায় পাস হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিলটি উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়ও দীর্ঘ বিতর্ক শেষে সহজেই পার হয়ে যায়। ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ১২৮টি এবং বিপক্ষে ৯৫টি ভোট পড়ে।

সংশোধিত বিলের বিতর্কিত বিধানগুলোর মধ্যে রয়েছে—কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিল এবং ওয়াকফ বোর্ডগুলোতে দুজন অমুসলিম সদস্যের বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি। এ ছাড়া, আরেকটি শর্ত হলো, কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিরাই ওয়াকফ সম্পত্তি দান করতে পারবেন।

তবে সরকার কীভাবে নির্ধারণ করবে কে একজন ‘ইসলাম ধর্ম পালনকারী’ মুসলিম, তা নিয়ে বিরোধী দল প্রশ্ন তুলেছে। তারা যুক্তি দিয়েছে, ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের দান করা থেকে বিরত রাখা ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকার এবং আইনের সমতার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ।

প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত সরকারি সম্পত্তি সরকারের মালিকানাধীন থাকবে না এবং স্থানীয় কালেক্টর এর মালিকানা নির্ধারণ করবেন। বিলে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে, কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা ওয়াকফ হিসেবে দাবি করা সরকারি সম্পত্তির তদন্ত

বিরোধের ক্ষেত্রে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে যে কোনো সম্পত্তি ওয়াক্ফের নাকি সরকারের। এটি বিদ্যমান ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে, যেখানে ওয়াক্ফ ট্রাইব্যুনাল এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিত। বিরোধী দল এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ এটিকে ওয়াক্ফ সম্পত্তির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে।

এ বিভাগের আরো খবর