বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা

  • ইউএনবি   
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৫:৫৬

সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকাকে সুরক্ষায় এই শুল্কারোপ অপরিহার্য ছিল।’

মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর চড়া শুল্কারোপ করে একটি আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এতে উত্তর আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকেও তাৎক্ষণিক পাল্টা পদক্ষেপ এসেছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময়ের মিত্র মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকটা বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকাকে সুরক্ষায় এই শুল্কারোপ অপরিহার্য ছিল।’

অবৈধ ফেনটানিল উৎপাদন ও রপ্তানি বন্ধে এ তিন দেশকে আরও অনেক জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী কমিয়ে আনতে কানাডা ও মেক্সিকোকে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান ট্রাম্প।

তবে এই শুল্কারোপ ট্রাম্পের জন্য হিতে-বিপরীতও ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে যদি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, পেট্রল, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য পণ্য কম দামে পেতে ট্রাম্পের ওপর যে আস্থা মার্কিন ভোটাররা রেখেছিলেন, সেটা ঝুঁকিতে পড়বে।

এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নতুন এক অস্থিরতায় ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। চীনা থেকে আমদানি করা সব পণ্যে ১০ শতাংশ ও মেক্সিকো-কানাডীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।

মেক্সিকো, কানাডা থেকে যে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, তাতে ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। দেশগুলো পাল্টা পদক্ষেপ নিলে শুল্কারোপ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার একটি কৌশল অন্তর্ভুক্ত করেছেন তার আদেশে। এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‌‘আজ ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে আমাদের একত্রিত করার বদলে বিচ্ছিন্ন করে দিল হোয়াইট হাউস।’

কানাডা অ্যালকোহল ও ফলসহ আমেরিকান পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫৫ হাজার ডলারের শুল্কারোপ করা হয়েছে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া সেইনবামও একই ঘোষণা দেন। কিন্তু চীনের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।

এ বিভাগের আরো খবর