যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য আকাশে বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও আমেরিকান এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষের পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ব্রিফিংয়ে তিনি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বারাক ওবামা ও জো বাইডেন-সমর্থিত বৈচিত্র্যকে বিমান নিরাপত্তার মান কমানোর জন্য দায়ী করেছেন।
ওয়াশিংটন টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প জানান, বুধবার রাতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
কারণ জানা না গেলেও এ দুর্ঘটনার জন্য তিনি তার পূর্বসূরিদের জাতি বা লিঙ্গভিত্তিক অগ্রাধিকারের উদ্যোগকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেছেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের জন্য যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা সবসময় যে যোগ্য লোক, তা কিন্তু নয়।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের আমলে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র্য আনা হয়েছিল, তাতেই বিমান চলাচলে নিরাপত্তার মান কমেছে। আর সেটিই এ মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার কারণ।
এ দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজের ৬৭ আরোহীর সবাই নিহত হন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাকে সবার ওপরে রাখি, কিন্তু বারাক ওবামা, জো বাইডেন আসলে আরও বেশি শ্বেতাঙ্গ নিয়োগ দিতে চেয়েছেন।
‘ডেমোক্র্যাটরা এই নীতিকে প্রথমে রাখে। কিন্তু আমরা সবসময় যোগ্য লোকদের চাই।’
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ব্রিফিং শুরুর আগে ওয়াশিংটনের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত এবং তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
তিনি আরও জানান, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ক্রিস রোচেলোকে ঘটনা তদন্তে নিয়োগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াশিংটনের রিগ্যান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়।
যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। আর সামরিক হেলিকপ্টারটিতে তিনজন সেনা ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা।