যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে মঙ্গলবার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কিছুটা পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
দাবানলে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ১১ জন। ধ্বংস হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি বিলাসবহুল বাড়ি ও অবকাঠমো।
এক লাখ ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ১৫০ বিলিয়নেরও বেশি ডলারের।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এ দাবানলের মধ্যেই চলছে লুটতরাজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্যালিসেইডস ও ইটন অঞ্চলে জারি করা হয়েছে কারফিউ।
নিউইয়র্ক থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
গত চার দিন ধরে দাউ দাউ করে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। গোটা শহর যেন নরকে পরিণত হয়েছে।
কয়েকটি জায়গায় দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ।
ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ দাবানলে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। ধ্বংস হয়ে গেছে ১০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর। এখনও বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দাবানলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পূর্বের রেকর্ড ছাড়াবে।
আগুন নেভাতে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ারফাইটাররা। টানা কাজের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিজাত প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বাড়িঘরগুলোতে লোকজনকে ফিরতে দেখা গেছে। অনেকে পোড়া বাড়িঘর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিপদের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাড়িঘরে চলছে লুটপাট। এরই মধ্যে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্যাসিফিক প্যালিসেইডস ও ইটনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারে পানি ছিটানো হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার নামাজের পর লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেয়।
ওই দিন টেক্সাস, ওকলাহোমা, নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বাতিল হয়ে যায় স্কুলের কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে লাখ লাখ শিশুকে ঘরে বসেই অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলের অফিস-আদালতও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে শার্লোট, ডালাস-ফোর্ট বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দুর্যোগের শিকার এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।