আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫০ কোটিরও বেশি ডলারের দু’টি চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির জন্য এটি দ্বিতীয় দঃসংবাদ। এর আগে বুধবার গৌতম আদানির বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে কয়েক শ’ কোটি ডলারের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এই উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে আদানির সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন।
দু’টি চুক্তির মধ্যে একটির অর্থমূল্য প্রায় ২শ’ কোটি ডলার। এই টাকা দিয়ে কেনিয়ার জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণের কথা ছিল আদানির। তাছাড়া ৩০ বছর মেয়াদি লিজের আওতায় বিমানবন্দরের যাত্রী টার্মিনালও উন্নত করার কথা ছিল।
এছাড়া আদানির সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি ৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সরকারি-বেসরকারি খাতের একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) চুক্তিও বাতিল করার কথা জানিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট রুটো।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি পরিবহন এবং জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্তকারী সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রুটো।
এদিকে ভারতের মুম্বাই থেকে পিটিআই জানিয়েছে, গৌতম আদানির বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
আদানি এক সময় বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র গৌতম আদানি। সমালোচকরা দীর্ঘদিন ধরে মোদির কাছ থেকে অনুচিতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আদানিকে দোষারোপ করে আসছেন।