যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। মস্কোর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এমনটা দাবি করা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইউক্রেন আজ সকালে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়নস্ক এলাকায় হামলা করেছে। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং একটি ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের কারণে ওই এলাকায় একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।
ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ থেকে সৃষ্ট আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়। এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করেছে। একদিন আগেই ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে এ ধরনের হামলার অনুমতি দিয়েছিল। সূত্র: বিবিসি
ইউক্রেন এই হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল। রাশিয়ায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম ছোড়ার অনুমতি পাওয়ার কিছু সময় পরই এই হামলা চালাল ইউক্রেন।
এর আগে সোমবার মস্কো ঘোষণা করেছিল, এ ধরনের যেকোনো হামলার জন্য তারা ‘উপযুক্ত ও কার্যকর জবাব’ দেবে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এর আগে জানিয়েছিল, এটি ব্রায়নস্ক অঞ্চলের একটি গোলাবারুদ গুদামে আঘাত করেছে। তবে হামলায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা তারা উল্লেখ করেনি।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কারাচেভ শহরের কাছাকাছি সীমান্ত থেকে একশ’ কিলোমিটার দূরে একটি ডিপোতে হামলা চালানো হয়, যার ফলে ১২টি দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক নীতিতে পরিবর্তন অনুমোদন করেছেন। নতুন ধারার আওতায় রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো অ-পারমাণবিক রাষ্ট্র রাশিয়ায় আক্রমণ করে এবং সেটি কোনো পারমাণবিক শক্তি দ্বারা সমর্থিত হয়, তবে সেটি রাশিয়ার ওপর যৌথ আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে।