রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্কের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং রাশিয়ার সাবেক ও বর্তমান একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। দিনটি যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচন ঘিরে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য জনগণের সামনে আসতে শুরু করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উঠে এলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্কের গোপন যোগাযোগের খবর। ২০২২ সাল থেকে নিয়মিত তাদের মাঝে ফোনে কথোপকথন চলছে বলে জানায় জার্নালটি।
চলতি মেয়াদে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে জোরালো প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন টেসলা সিইও। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারও খরচ করছেন তিনি। বিজয়ী হলে মাস্ককে তার প্রশাসনে একটি পদ দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগ রয়েছে বলেও জোরালো গুঞ্জন উঠেছিল। কয়েকটি পক্ষ দাবি করে বসে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। এরই মাঝে ইলন মাস্কের এই খবর রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২২ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ না দিতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন ইলন মাস্ক। এর পরের বছর রাশিয়ান সেনাদের ওপর আক্রমণের জন্য কিয়েভকে স্টারলিঙ্ক সেবা দিতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি। এছাড়া রাশিয়ার অনুরোধে তাইওয়ানকে স্টারলিংক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে চীনেরও উপকার করেছেন স্পেস এক্স সিইও।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্যক্তিগত নানা বিষয় ছাড়াও ব্যবসা এবং ভূ-রাজনীতি নিয়ে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে ইলন মাস্ক ও পুতিনের মধ্যে। যদিও জার্নালের প্রতিবেদনটিকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
২০২২ সালে ইলন মাস্ক স্বীকার করেন পুতিনের সঙ্গে মহাকাশ বিষয়ে তার একবার কথা হয়েছিল। যদিও এরপর আর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ করেননি কেউ। স্পেস এক্সের সঙ্গে নাসা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি প্রকল্প চালু থাকায় সামরিক ও সংবেদনশীল নানা বিষয়ে ইলন মাস্কের ধারণা রয়েছে। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগের খবরে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।