হারিকেন হেলেনের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কমপক্ষে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও হারিকেনের কারণে দেশজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে সাত শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে।
হারিকেনের কারণে নর্থ ক্যারোলাইনার শারোলেটে আবাসিক ভবনের ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ায় এক ব্যক্তি নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া হারিকেনের আঘাতে মধ্য জর্জিয়ার লরেন্স কাউন্টিতে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। রাজ্যের গভর্নর ব্রায়ান কেম্প বলেছেন, পার্শ্ববর্তী হুইলার কাউন্টিতে আরও দুজন নিহত হয়েছেন।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লোরিডার পেরির কাছে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। বিগ বেন্ড এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর টাম্পা এলাকার ইবর সিটির কাছে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আই-ফোর মহাসড়কে বাতাসের কারণে একটি গাড়ির ওপর সড়কে চলাচলের নির্দেশক একটি সংকেত ভেঙে পড়ায় ওই ব্যক্তি প্রাণ হারান।
হারিকেনের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে আটলান্টায় বন্যা-সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
হারিকেন হেলেনের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৪ মিলিয়নের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সাত শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লোরিডার পশ্চিমাঞ্চলীয় আলাশুয়া কাউন্টিতে গাছ ও বিদ্যুতের লাইন উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড়টি জর্জিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে টেনেসিতে পৌঁছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় হিসেবে শেষ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা ও আলাবামায় জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও সাউথ ক্যারোলাইনার কিছু অংশে টর্নেডো সতর্কতা জারি করে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস।
ফ্লোরিডায় শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএস।
ফ্লোরিডার একাধিক কাউন্টি লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ জারি করেছে এবং দক্ষিণ জর্জিয়ার বেশ কয়েকটি শহর ও কাউন্টিতে রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।