লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ২৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ইসরায়েল সোমবার সকাল থেকে হিজবুল্লাহর প্রায় ৩০০ ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি।
মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ জন নিহত ও তিন শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টায় ইসরায়েল এই বিমান হামলা চালায়। হামলায় হতাহতদের মধ্যে কতজন বেসামরিক নাগরিক বা হিজবুল্লাহ আছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকায় হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে লেবাননে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি লেবাননের লোকজনকে ‘নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে’ হিজবুল্লাহর অবস্থান থেকে দূরে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ইসরেয়েলের সামরিক বাহিনী সোমবার লেবাননের প্রায় তিনশ’টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের ফোনে এ সংক্রান্ত সতর্কবার্তাও পাঠানো হয়। ফোনে ম্যাসেজ ও অডিও বার্তা আকারে ওই সতর্কবার্তা পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সতর্কবার্তায় হিজবুল্লাহ অস্ত্র লুকিয়ে রাখার জন্য যেসব আবাসিক ভবন ব্যবহার করেছে, সেসব ভবন থেকে বাসিন্দাদের দূরে সরে যেতে বলা হয়।
ইসরায়েল এর আগে গত সপ্তাহে লেবাননে দু’দফা ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটায়। মঙ্গলবার লেবাননের কয়েকটি জায়গায় হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের পেজার বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে দুই হাজার ৮০০ জন আহত হন। পরদিন ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জন নিহত ও ৪৫০ জনের মতো আহত হন।