ইরান সফরে যাওয়া হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে বুধবার ভোরে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাস বলেছে, রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের ওপর হামলাটি ছিল ‘মারাত্মক তীব্রতা বৃদ্ধি’। হামলার উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডও হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন হানিয়া।
হামাসের প্রধান নিহত হওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসও এ বিষয়ে রয়টার্সের কাছে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান উপত্যকায় প্রাণঘাতী হামলার জন্য দায়ী মনে করা হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার ইসরায়েলি দাবির ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে হানিয়া নিহত হওয়ার খবরটি এলো।
এমন বাস্তবতায় গাজায় শিগগিরই কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
‘ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃক হানিয়া ভাইকে এ গুপ্তহত্যা গুরুতর তীব্রতা বৃদ্ধি, যার উদ্দেশ্য হামাসের ইচ্ছাশক্তি গুঁড়িয়ে দেয়া’, রয়টার্সকে বলেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি।
হামাস একই পথে চলা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’