ইতালির আপুলিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে তিনটি বিব্রতকর ভুল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার একদিনে এমন তিনটি ভুল মিডিয়ার চোখে ধরা পড়েছে। যেমন অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটাহাঁটি, অপ্রয়োজনীয় স্যালুট এবং আলোচনার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়া।
দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জি-৭ সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের করা ভুলগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবারের সম্মেলনে গোলটেবিল আলোচনা চলার মধ্যেই ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘুমিয়ে পড়েন। তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিজ আসন ছেড়ে এগিয়ে এসে তাকে জাগাতে দেখা গেছে।
ক্যামেরায় দেখা গেছে, যখন জি-৭ এর দেশগুলোর প্রধান নেতারা ইতালি শীর্ষ সম্মেলনে প্যারাসুট প্রদর্শনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখছিলেন, তখন বাইডেন অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটতে হাঁটতে অন্য দিকে চলে যান।
তিনি উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে থাকার পরিবর্তে ওই স্থান থেকে দূরে চলে যেতে থাকেন এবং ব্যাগ গোছাতে থাকা একজন অফিসারের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত কথোপকথন শুরু করেন।
তখন সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শেষ পর্যন্ত বাইডেনের কাছে এসে তাকে গ্রুপ ছবি তোলার জন্য অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যান।
ক্যামেরা ফুটেজে আরও দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্যারাসুট প্রদর্শনের স্থান ছেড়ে দূরে চলে যাওয়ার আগে কোনো কারণ ছাড়াই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে স্যালুট করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ইতালিতে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ব্যঙ্গ করেছেন।
একজন ব্যবহারকারী তার এক্স পোস্টে লেখেন, ‘জি-৭ সামিট থেকে যে ধরনের ভিডিও বের হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কিছুই ঠিক হচ্ছে না। নিশ্চিতভাবে তার চিকিৎসার প্রয়োজন।’
আরেকজন লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে শিশুর মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এর আগেও বেশ কয়েকবার শীর্ষ নেতাদের নাম ভুল করে এবং অন্যমনস্ক আচরণ করে সমালোচিত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমালোচকরা তার আচরণ, শারীরিক অবস্থা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বাইডেন বিরোধীরা বার বার দাবি করছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়ার মতো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নন তিনি।
বাইডেন অবশ্য বরাবরই তা অস্বীকার করে চলেছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন জো বাইডেন।