বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ জুন, ২০২৪ ০৯:২৯

প্রস্তাবে শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে ‘পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি’, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেয়া এবং ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়।

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে।

প্রস্তাবে শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে ‘পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি’, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেয়া এবং ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়।

বিবিসির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

ইসরায়েল ইতোমধ্যে প্রস্তাবে সম্মত আছে বলে রেজল্যুশনে উল্লেখ করা হয়। হামাসকেও রাজি হতে তাগিদ দেয়া হয়েছে এতে।

অর্থাৎ, শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেনসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের সাথেই নিরাপত্তা পরিষদের এই ইস্যুতে আলাপ হয়েছে। গত ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিন ধাপের প্রস্তাবটি তুলে ধরেন।

নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটির ফলে সংঘাত বন্ধে প্রস্তাবে ইতিবাচক চাপ বাড়বে দিতে দুই পক্ষের ওপরই।

শান্তি চুক্তির জন্য সমর্থন আদায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বৈঠকের পরপরই জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসের খবর পাওয়া গেল।

জাতিসংঘে ভোটাভুটির মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই আরব নেতাদের উদ্দেশে ব্লিঙ্কেন আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি যুদ্ধবিরতি চান, ‘হ্যাঁ’ বলতে হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন।

হামাস এর আগে বলেছিল, তারা পরিকল্পনার কিছু অংশ সমর্থন করে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে তারা।

ধারণা করা যায়, হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে পুরোপুরিভাবে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইবে।

অবশ্য কাতারের দোহায় অবস্থানকারী সংগঠনের রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষে প্রস্তাবের ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।

প্রস্তাবটি গৃহীত হলে সংঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার পুনর্নির্মাণে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের একটি খসড়া থেকে জানা যায়, তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপে জিম্মি-বন্দি বিনিময় এবং স্বল্প মেয়াদের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। স্থায়ীভাবে সংঘাতের অবসান এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার রাখা হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে।

তৃতীয় ধাপটিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কার্যকর হলে গাজায় কয়েক বছরব্যাপী রিকনস্ট্রাকশন বা পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।

এ বিভাগের আরো খবর