ভারতে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে মঙ্গলবার।
এ নির্বাচনে জোটগতভাবে সর্বাধিক আসন পেয়ে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পথে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। অন্যদিকে খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে চমক দেখিয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। তারাও পরবর্তী করণীয় নিয়ে ভাবছে।
এনডিটিভি জানায়, লোকসভার ভোট হওয়া ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ভারতের নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে ৫৪২টির। এর মধ্যে বিজেপি এককভাবে জয়ী হয় ২৪০টি আসনে। অন্যদিকে কংগ্রেস এককভাবে আসন পায় ৯৯টি।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিড আসনের ফল ঘোষণা করা হয়নি। সেখানে এনসিপি (শারদ পাওয়ার) প্রার্থী বজরং মনোহর সোনওয়ানে বিজেপির প্রার্থী পঙ্কজা মুন্ডের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) পায় ২৯৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (আইএনডিআইএ তথা ইন্ডিয়া) পায় ২৩২ আসন।
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ২৭২ আসন। বিজেপি এ পরিমাণ আসন না পাওয়ায় সরকার গঠনে তাদের দ্বারস্থ হতে হবে জোটসঙ্গীদের।
বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের মধ্যে এন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও নীতিশ কুমারের জেডি (ইউ) অন্ধ্র প্রদেশ ও বিহারের ১৬টি ও ১২টি আসন পেয়েছে। সরকার গঠন করতে হলে এ দুই মিত্রের বাইরেও অন্য দলের সমর্থন লাগবে বিজেপির।
এদিকে কংগ্রেসের পাশাপাশি সাফল্য পেয়েছে ইন্ডিয়া জোটের অন্য দলগুলোও। উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে রাজ্যের ৮০ আসনের ৩৭টি। অন্যদিকে জোটভুক্ত অপর দল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ২৯টি পেয়েছে।
ভারতে গত গত ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সময়ে সাত দফায় লোকসভার ভোটগ্রহণ হয়। সপ্তম ধাপে শনিবার ভোটগ্রহণের তিন দিন পর গণনা শুরু হয় মঙ্গলবার।
এ নির্বাচন পরবর্তী জরিপের ফলগুলোতে বিজেপির ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, তবে ফল গণনার ক্ষণ বাড়ার সঙ্গে তা ভুল প্রমাণ হয়েছে।