বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বাইডেনের পরিকল্পনা ‘মেনে নিচ্ছে’ ইসরায়েল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২ জুন, ২০২৪ ২১:২৩

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত শুক্রবার তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। হামাসের প্রতি এই পরিকল্পনা মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষিত পরিকল্পনা মেনে নিচ্ছে ইসরায়েল।

ওই পরিকল্পনাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ এবং বিষয়টি নিয়ে কাজ করার আরও কিছু আছে’ মন্তব্য করে স্থানীয় সময় রোববার এক সাক্ষাৎকারে তিনি মেনে নেয়ার কথা জানান বলে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে।

ব্রিটেনের সানডে টাইমসকে দেয়া সাক্ষাত্কারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রধান পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ওফির ফক বলেছেন, বাইডেনের প্রস্তাব ছিল ‘একটি চুক্তি যা আমরা সম্মত হয়েছিলাম’- এটি ভালো কোনো চুক্তি নয়, তবে আমরা জিম্মিদের মুক্তি চাই, তাদের সবাইকে চাই।

তিনি বলেন, এখানে অনেক বিশদ বিবরণ আছে। জিম্মিদের মুক্তি এবং একটি গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে হামাসকে ধ্বংস করাসহ ইসরায়েলি শর্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে নেতানিয়াহু ওই পরিকল্পনায় রাজি হলে তার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ ও ক্ষমতাসীন জোট সরকার ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তার দেশেরই কট্টর ডানপন্থী দুজন মন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত শুক্রবার তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। হামাসের প্রতি এই পরিকল্পনা মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। হামাসও এরই মধ্যে এ পরিকল্পনাকে ‘ইতিবাচকভাবে’ নিয়েছে বলে জানিয়েছে।

ইসরায়েল পরিকল্পনা মেনে নেবে বলে বলে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রত্যাশা রয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করবে।

গত শুক্রবার ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন বাইডেন।

রয়টার্স জানায়, বাইডেনের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি থাকবে, যে সময়ের মধ্যে গাজার জনবহুল সব এলাকা ছাড়বেন ইসরায়েলি সেনারা।

যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকা কয়েক শ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে বয়স্ক ও নারীসহ কিছু ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। এ সময়ে গাজায় নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজন। একই সঙ্গে বিরান হয়ে যাওয়া উপত্যকায় দিনে ৬০০ ট্রাক খাদ্য সহায়তা পৌঁছাবে। এ পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমঝোতার আলোচনা করবে হামাস ও ইসরায়েল।

বাইডেনের ভাষ্য, যুদ্ধবিরতি ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যতক্ষণ হামাস তার প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকে। প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস ও ইসরায়েলের সমঝোতা আলোচনা ছয় মাসের বেশি সময় গড়ালে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বে।

বাইডেনের ভাষ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে পুরুষ সেনাসহ জীবিত ইসরায়েলি সব বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিপরীতে গাজা ছেড়ে চলে যাবেন ইসরায়েলি সেনারা। এ পর্যায়ে শুরু হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া। তৃতীয় ধাপে গাজায় বড় ধরনের পুনর্গঠন হবে এবং উপত্যকায় থাকা ইসরায়েলি বন্দির ‘অবশিষ্টদের’ তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।

এ বিভাগের আরো খবর