আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার মাইক জনসন।
নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান সোমবার জানান, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলা এবং পরবর্তী সময়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন গাজায় হামাসের প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ার, দলটির সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডসের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ ও রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউআভ গালান্ট।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসিসির এ ঘোষণার এক দিন পর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার মাইক জনসন জানান, তিনি এখনও নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণপত্র পাঠাননি। কারণ তিনি কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশনে নেতানিয়াহু আমন্ত্রণের চিঠিতে উচ্চকক্ষ সিনেটের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চাক শুমারের সাড়ার অপেক্ষায় আছেন।
জনসন আরও জানান, শুমার চিঠিতে সই করতে রাজি না হলে নেতানিয়াহুকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণের জন্য বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণকে বিরল সম্মান হিসেবে দেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতম মিত্র বা বিশ্বজুড়ে পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে এ ধরনের সুযোগ দেয়া হয়।
নেতানিয়াহু এরই মধ্যে তিনবার সেই সুযোগ পেয়েছেন, যার সর্বশেষটি ছিল ২০১৫ সালে।