ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল তেহরান। কিন্তু ব্যবস্থাপনাগত কারণে ওয়াশিংটন সহযোগিতা করতে পারেনি।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি।
রোববার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের পর ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে ফেরার পথে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান ও তাদের সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ ঘটনায় হেলিকপ্টারে থাকা সবার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু মনে করলেও তেহরান ওয়াশিংটনের কাছে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা চেয়েছিলে বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ইরানের সরকার আমাদের কাছে সহায়তা চেয়েছিল। আমরা তাদের পরিষ্কার করে জানিয়েছি, আমরা সহায়তা দিতাম। এ ধরনের পরিস্থিতিতে একটি বিদেশি সরকারের যেকোনো অনুরোধে আমরা যেমন সাড়া দিয়ে থাকি। তবে শেষ পর্যন্ত, মূলত লজিস্টিক কারণে, আমরা সহায়তা দিতে সক্ষম হইনি।’
রোববার রাতভর তুষার ঝড়ের মধ্যে অনুসন্ধান অভিযানে বিঘ্ন ঘটে। পরে সোমবার ভোরে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
কী কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা নিয়ে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানায়নি ইরান।
এ ঘটনার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করতে পারে তেহরান, এ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কিনা, এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না।
‘(দুর্ঘটনার) কারণটি কী হতে পারে আমি তা অনুমান করতে পারছি না।’
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি উচ্চপর্যায়ের একটি দলকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার আলী আবদুল্লাহি। পুরো তদন্ত কাজ শেষ হওয়ার পরই ফল জানানো হবে বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।